নিজস্ব প্রতিনিধি, নদিয়া: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে তৈরি হয়েছে প্রতিটি স্কুলে কন্যাশ্রী ক্লাব। মেয়েদের উন্নতি, শিক্ষার প্রসার এবং তাদেরকে সমাজে সুপ্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্য কন্যাশ্রী ক্লাবের। এবার নাবালিকা কন্যার বিয়ে রুখে নজির সৃষ্টি করল কন্যাশ্রী ক্লাব। নদীয়ার শান্তিপুর সুত্রাগড় গার্লস হাই স্কুলের কন্যাশ্রী ক্লাবে বিশেষ সূত্রে খবর পান তারা, এলাকারই একটি মেয়ে এবং সুত্রাগড় গার্লস হাইস্কুলের দ্বাদশ শ্রেণীর নাবালিকা ছাত্রী(Minor Girl), তার বিয়ে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যদিও ছেলের বয়স মেয়ের বয়সের দ্বিগুণ। তৎক্ষণাৎ স্কুল কর্তৃপক্ষ খবর দেন স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতিকে।
এরপরেই শান্তিপুর থানায়(Shantipur P.S.) একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। শান্তিপুর থানার পুলিশের সহযোগিতায় স্কুলের শিক্ষিকারা গিয়ে, উপস্থিত হন উক্ত নাবালিকা কন্যার বাড়িতে। তবে প্রথমে নাবালিকা কন্যার পরিবার ঘটনা অস্বীকার করলেও, পরবর্তীতে পুলিশের জিজ্ঞাসা বাদে স্বীকার করে নেন,তারা মেয়ের বিয়ে দিচ্ছিলেন। তবে মেয়েও যে এই বিয়েতে রাজি নন সে কোথাও স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানায় নাবালিকা কন্যা। অবশেষে ওই নাবালিকা কন্যার পরিবারকে শান্তিপুর থানায় নিয়ে আসে শান্তিপুর থানার পুলিশ। তারপর নাবালিকা কন্যার পরিবার শান্তিপুর থানায় একটি মুচলেখা দেন এবং তাতে লেখেন ভবিষ্যতে যতক্ষণ না পর্যন্ত মেয়ে সাবালক হচ্ছে এবং সে যতক্ষণ না পর্যন্ত বিয়ের জন্য রাজি হচ্ছেন ততক্ষণ তারা মেয়ের বিয়ে দেওয়ার জন্য কোনরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করবে না।
তবে এ বিষয়ে সূত্রাগর গার্লস হাই স্কুলের(Sutragar Girl’s High School) প্রধান শিক্ষিকা আইভি প্রামাণিক জানান, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (CM)মেয়েদের জন্য একের পর এক প্রকল্প এবং তাদের সুশিক্ষার জন্য একের পর এক কাজ করে যাচ্ছে। তবুও সাধারণ মানুষ এখনো পর্যন্ত ওয়াকিবহল নন। মেয়েদের সুশিক্ষা এবং নাবালিকা থাকা অবস্থায় তাদের বিয়ে না দেওয়া এই প্রসঙ্গে। তবে শান্তিপুর থানার পুলিশ যেভাবে তাদেরকে সাহায্য করেছে তাতে করে একটি নাবালিকা কন্যার বিয়ে রুখে দিতে পেরে তারা অত্যন্ত খুশি। ভবিষ্যতে যেন কেউ আর এরকম পদক্ষেপ গ্রহণ না করেন তারও আর্জি জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষিকা(Head Mistress)।