নিজস্ব প্রতিনিধি,শান্তিপুর: বসত ঘরের পাশেই তাঁতঘরে হঠাৎই ভয়াবহ আগুন। আধঘন্টার মধ্যে সমস্ত কিছু পুড়ে ছাই। মারা যায় গবাদি পশু, দমকল আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে আধ ঘন্টার প্রচেষ্টায়। বৃহস্পতিবার রাতে নদীয়ার শান্তিপুর থানার(Shantipur P.S.) বাবলা বাইপাস সংলগ্ন দক্ষিণপাড়া এলাকার পরিতোষ বিশ্বাসের তাঁত ঘরে লেগে যায় আগুন। রেশমের সম্পূর্ণ তানা যুক্ত তাঁত, একটি চরকা বেশ কিছু জমিয়ে রাখা পিচবোর্ড একটি সাইকেল, শোয়ার তোষক এবং ওই ঘরেই বাধা একটি ছাগল সম্পূর্ণভাবে ভস্মিভূত হয়ে যায় ক্ষনিকের মধ্যেই।
শান্তিপুর(Shantipur) অগ্নি নির্বাপন কেন্দ্রে খবর দিলে তারা এসে আগুন আয়ত্তে আনে। যদিও ততক্ষণে ওই ঘরের সবকিছু পুরো শেষ হয়ে যায়। এলাকাবাসীরা জানান ওই ঘরে আরো দুটো ছাগল বাধা ছিলো আগুন লাগার সাথে সাথে তাদেরকে কোনরকমে গলার দড়ি কেটে বের করা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু অপর একটি ছাগল ভেতরের দিকে আটকিয়ে থাকার কারণে বের করা সম্ভব হয়নি। সেখানেই পুড়ে মারা যায়। এভাবে ঘরের মুলি বাসের বেড়া এবং বাঁশের খুঁটি সম্পূর্ণভাবে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়ে ঘরটির একাংশ পড়ে যায়। প্রাথমিকভাবে দমকলের অনুমান শটসার্কিট থেকেই এ ধরনের ঘটনা। যদিও স্থানীয়ভাবে মানুষজন নিজেরাই মোটর চালিয়ে এবং চাপা কল থেকে জল নিয়ে এসে মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছিল তারপর দমকল আসলে তাদের ইঞ্জিন থেকে পাইপ এর মাধ্যমে জল দেওয়া হয়। লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেই তাদের প্রাথমিক ধারণা, ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়ায়।
পরিবারের সদস্য প্রতাপ বিশ্বাস বলেন, ওই ঘরে কোন মানুষ বসবাস করত না। শুধুমাত্র তাঁত বোনার সময় আমরা থাকতাম। তবে আমাদের প্রাথমিক অনুমান শর্ট-সার্কিটের ফলে এই আগুন লেগে থাকতে পারে।অন্যদিকে, ঘটনার বিবরণ দিয়ে শান্তিপুর ফায়ার ব্রিগেডের ওসি(OC) সুদর্শন চক্রবর্তী বলেন, আমরা গতকাল সন্ধ্যায় খবরটি পাই। তবে এলাকার রাস্তা খুব ছোট হওয়ার কারণে আমরা গাড়ি নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করতে পারিনি। তার আগেই নিজস্ব মোটর চালিয়ে এলাকাবাসী আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ করছিল। আমরা এসে তাদের সাহায্য করা শুরু করি বর্তমানে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে।