নিজস্ব প্রতিনিধি,শান্তিপুরও ময়না : অবসরপ্রাপ্ত এক বৃদ্ধর রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য। জানা যায় মৃতের নাম অলোক সাহা, বাড়ি নদীয়ার শান্তিপুর(Shantipur) চৌগাছা পাড়া এলাকায়। বয়স ৭২ বছর। পরিবারের দাবি শনিবার সকাল আটটা নাগাদ ওই বৃদ্ধকে দোতলার ঘরে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই তারা, এরপর খবর জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে যায় শান্তিপুর থানার পুলিশ, বৃদ্ধর দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় হাসপাতালে সেখানেই চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করে।
তবে পরিবারের দাবি ওই বৃদ্ধ সেন্ট্রাল গভমেন্টের চাকরি করতো, বর্তমানে এখন অবসরপ্রাপ্ত, কিন্তু কি কারনে এই বয়সে আত্মহত্যার রাস্তা বেছে নিল তা অজানা পরিবারের কাছে। অন্যদিকে মৃতদেহটির ময়না তদন্তের জন্য রানাঘাট(Ranaghat) পুলিশ মর্গে পাঠানো হয়। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরে ওই বৃদ্ধর মৃত্যুর কারণ জানা সম্ভব। যদিও এই ঘটনায় পরিবারে নেমে আসে শোকের ছায়া।এদিকে,৮ দিন পর শুক্রবার রাত্রে কলকাতার এস এস কে এম(SSKM) হাসপাতালে দ্বিতীয়বার ময়না তদন্ত করে বাকচার গ্রামের মৃত যুবক দীনবন্ধু মীদ্যার মৃতদেহ বাড়িতে পৌঁছায় ।এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
প্রসঙ্গত গত ২৬শে এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে বাকচার গোড়ামাহাল গ্রামের তরুণ তাজা যুবক দীনবন্ধু মিদ্যা বাড়ির থেকে ১০০ মিটার দূরে একটি পাণের বরজ থেকে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ময়না থানার বিশাল পুলিশবাহিনী মৃতদেহটি উদ্ধার করে তমলুক জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছিলেন ময়না তদন্তের জন্য। মৃত দীনবন্ধু মিদ্যার পরিবারের অভিযোগ তাদের পরিবার বিজেপি(BJP) করায় তাদের ছেলেকে খুন করা হয়েছে। মৃত দীনবন্ধু মিদ্দার পরিবার তাদের ছেলের দ্বিতীয়বার ময়না তদন্তের জন্য হাইকোর্টে দ্বারস্ত হন। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী শুক্রবার কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে দ্বিতীয় বার ময়না তদন্ত হয়। ওই রাতেই দীনবন্ধু মিদ্দার মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। মৃতদেহ বাড়িতে পৌঁছাতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবার থেকে আত্মীয় পরিজনরা । শনিবার সকালে দীনবন্ধু মিদ্যার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। এই ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।