নিজস্ব প্রতিনিধি: পশ্চিম বর্ধমান(Paschim Burdwan) জেলায় দুর্গাপুর বিমানবন্দর চালু হয়ে গিয়েছে আগেই। এখন সেখান থেকে নিত্যদিন দেশের বিভিন্ন শহরে যাওয়ার বিমান মেলে। এর পাশাপাশি আসানসোলের পাশেই থাকা বার্নপুরে(Burnpur) ইস্কোর বিমানবন্দর দিয়ে যাত্রীবাহী বিমান চালানোর সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেখানে বড় যাত্রীবাহী বিমান উঠা-নামা করার ক্ষেত্রে রানওয়ে বাড়ানোর কাজে একের পর এক বাধা আসছে। সেই বাধা কাটাতে এবার নিঘায়(Nigha) বিমানবন্দর(Airport) গড়ার প্রস্তাব দিলেন আসানসোলের তৃণমূল সাংসদ(TMC MP) শত্রুঘ্ন সিনহা(Shatrughan Sinha)। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে রাজ্য সরকারেরও সেক্ষেত্রে মত আছে। সেই কারণেই শত্রুঘ্ন সিনহা কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রীকে এই নিয়ে চিঠিও দিয়েছেন।
বার্ণপুরে পশ্চিম বর্ধমান জেলার দ্বিতীয় বিমানবন্দর গড়ে তোলার কাজ বহুদূর এগিয়ে ছিল। এখন এই বিমানবন্দর ৯ আসন বিশিষ্ট বিমান উঠা-নামা করার উপযোগী। কিন্তু রাজ্য সরকার চাইছিল সেখানে অন্তত ৫০ আসন বিশিষ্ট বিমান নামাতে। সেই কারণেই রানওয়ে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই কাজে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ওই এলাকায় ব্যক্তি মালিকানাধীন থাকা কিছু গাছ। বার বার সর্বোচ্চস্তরে আলোচনার পরও জটিলতা কাটেনি। মালিকরা গাছ কাটতে রাজি হননি। জটিলতা না মেটায় সেখান থেকে প্রকল্পটি সরানোর ভাবনাচিন্তা শুরু করে দেয় কেন্দ্র সরকার। সেই সূত্রেই রাজ্য সরকারও বিকল্প জায়গা খোঁজার কাজ শুরু করে দেয়। তারপরেই নিঘায় বিমানবন্দর গড়ার বিষয়টি রাজ্য সরকারকে জানান শত্রুঘ্ন। সেখানে বড় বিমান নামানোর মতো রানওয়ে ও বিমানবন্দর তৈরি করার মতো জমি মিলবে। সব থেকে বড় কথা সেখানে ব্রিটিশ আমল থেকেই একটি রানওয়ে রয়েছে যা সারিয়ে নিয়ে বড় বিমান নামার মতো রানওইয়ে গড়ে তোলা যাবে।
২ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপরেই রয়েছে জামুড়িয়া থানার নিঘা মোড়। সেখানেই ব্রিটিশ সরকার বিশাল এলাকা নিয়ে গড়ে তুলেছিল এরোড্রাম বা সামরিক বিমানবন্দর। শ্রীপুর, নিশ্চিন্তা, রতিবাটি সহ বিভিন্ন এলাকার বহু জমি অধিগ্রহণ করে এই এরোড্রাম তৈরি করা হয়েছিল। গড়ে তোলা হয় সুদীর্ঘ রানওয়েও। সামরিক বিমান ঘাঁটি হিসেবেই এর ব্যবহার করা হতো। তারপর দামোদর দিয়ে বহু জল গড়িয়েছে। এখন এই বিস্তীর্ণ এলাকা ফাঁকা। এই বিশাল জমি ব্যবহার করেই বিমান বন্দর গড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বিস্তীর্ণ জমি ফাঁকা পড়ে থাকায় জমি দখল হচ্ছে। কেউ গড়ে তুলছে ধাবা। কেউ আবার জমি ঘিরে তা বিক্রি করে দিচ্ছে। যেভাবে জমি হাঙররা এলাকায় সক্রিয়, তাতে সেখানে নতুন কোনও প্রকল্প গড়ে না উঠলে জমি গিলে খাবে মাফিয়ারা।