নিজস্ব প্রতিনিধি: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে খিচুড়ির সঙ্গে রান্না করা হয়েছে সাপের বাচ্চা! আর সেই খিচুড়ি খেল শিশুরা। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর ব্লকের পাড়াতল ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাগকালাপাহাড় গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। সাপ-সহ রান্না করা খিচুড়ি শিশুরা খেয়ে ফেলায় আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে পড়েন অভিভাবকরা। শিশুদের নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।
বুধবার পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুর ব্লকের পাড়াতল ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাগকালাপাহাড় গ্রামের ১৩৬ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে রান্না করা খিচুড়িতে মরা সাপের বাচ্চার দেখা মেলে। আর সেই খবর ছড়িয়ে পড়তে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ততক্ষণে একাধিক শিশু সেই খিচুড়ি খেয়ে ফেলেছে। এর পর তাদের অভিভাবকরা ঘটনার কথা জেনে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। ভয়ে, আতঙ্কে শারীরিকভাবে অসুস্থ অনুভব করতে শুরু করে শিশুরা। তারপর দুপুরেই তাদের জামালপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা শিশুদের শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখেন। বেশ কিছু সময় তাদের পর্যবেক্ষণে রাখেন। তারপর তাদের ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। শিশুদের বড়সড় কোনও বিপদ ঘটেনি বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে পুষ্টিদায়ক খাবার পাওয়ার জন্য শিশু ও প্রসূতি-সহ ৫৪ জনের নাম নথিভুক্ত রয়েছে।
অন্যদিকে ঘটনার খবর যায় স্থানীয় প্রশাসনিক আধিকারিকদের কাছে। খবর পেয়েই ব্লকের বিডিও ও সিডিপিও জামালপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ছুটে যান। শিশুদের শারীরিক অবস্থার বিষয়ে খোঁজ খবর নেন তাঁরা। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে প্রশাসনিক আধিকারিকরা। জামালপুরের বিএমওএইচ ঋত্বিক ঘোষ এই বিষয়ে জানান, শিশুদের তেমন কোনও অসুস্থতা দেখা যায়নি। তবুও ছয় শিশুকে বেশ কিছু পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী জ্যোৎস্না ঘোষ এদিনের ঘটনা নিয়ে বলেন, খিচুড়ি রান্না করার সময়ে তাতে একটা সাপের বাচ্চা সবার নজর এড়িয়ে পড়ে যায়। সাপ শুদ্ধু খিচুড়ি রান্না হয়ে যাওয়ার পর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিশু ও প্রসূতিদের তা বিতরণও করে দেওয়া হয়। এক শিশু বাড়িতে গিয়ে খিচুড়ি খাওয়ায় সময় তাতে মরা সাপ দেখতে পায়। ওই শিশু ও তার পরিবার থালা সমেত ওই খিচুড়ি সেন্টারে নিয়ে এসে দেখায়। এর পর বাকিদের খিচুড়ি খেতে বারণ করা হয়।