নিজস্ব প্রতিনিধি: দলের একের পর এক বিধায়ক দলেরই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেড়িয়ে যাচ্ছেন। দলের সব সভা, কর্মসূচি থেকে নিজেদের গুটিয়ে নিচ্ছেন। দলের সঙ্গে তাঁদের দূরত্বও ক্রমশ বাড়ছে। ঘটনার জেরে কার্যত নাজেহাল দশা বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের। এই অবস্থায় দলের ক্ষততে মলম লাগানোর জায়গায় কার্যত নুনের ছিটে দিয়ে দিলেন দলেরই সাংসদ। আর তার জেরে বঙ্গ বিজেপির অন্দরে জাঁকিয়ে বসেছে চড়া দাগের অস্বস্তি। বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খান দাবি করেছেন, বঙ্গ বিজেপিতে এখন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেড়িয়ে যাওয়ার যে সব ঘটনা ঘটছে তা আদতে ‘বড় পরিবারের মধ্যে চলা খুনসুটি’। তবে তাঁর এটাও দাবি, দলের মধ্যে ঝগড়া বাড়াচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। তাই এই সব গ্রুপ না থাকাই ভালো। এইসব গ্রুপের কোনও যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। সঙ্গে এটাও জানিয়ে দিয়েছেন, কারোর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে দেওয়ার অর্থ এই নয় যে সে বা তাঁরা দল ছেড়ে দিচ্ছেন। বাঁকুড়ায় দলের স্থানীয় বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানার কার্যালয়ে বসে সাংবাদিকদের সঙ্গে বুধ সন্ধ্যায় গল্পের ছলেই এমনটা জানিয়েছেন সৌমিত্র।
মতুয়া সমাজের সাংসদ-বিধায়কদের নিয়ে বঙ্গ বিজেপিতে এখন যে ঢামাঢোল চলছে তা নিয়েও মুখ খুলেছেন সৌমিত্র। জানিয়েছেন, ‘গ্রুপ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার মানেই যে দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াল, তা কিন্তু নয়। শান্তনু ঠাকুর মতুয়া পরিবারের কর্তা। যে সমস্যা হয়েছে তা ওঁর সঙ্গে আলোচনা করলেই মিটে যাবে। বড় পরিবারের মধ্যে কিছু খুনসুটি তো হবেই।’ তবে সৌমিত্রের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ না থাকার বিষয়টি এখন বেশি করে অস্বস্তি ছড়িয়েছে বঙ্গ বিজেপির অন্দরে। তবে বঙ্গ বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপ বিতর্কে শান্তনু ঠাকুর ও হিরণের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে পারে দল। দলের একাংশ মনে করছেন শান্তনু ঠাকুর কার্যত দলকে এখন নানান দাবিদাওয়া নিয়ে ব্ল্যাকমেল করা শুরু করে দিয়েছেন। তাই তাঁর বিরুদ্ধে দল পদক্ষেপ নিক এমনটাই চাইছেন তাঁরা। অন্যদিকে হিরণকে দলের সংগঠনের কাজেও লাগাতে চাইছেন তাঁরা।