এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

দীর্ঘদিনের মানসিক, গঙ্গাসাগরে গিয়ে ৬টি তীর্থে পুজো দিচ্ছেন ভক্তরা

নিসর্গ নির্যাস: চলছে গঙ্গাসাগর মেলা। তীর্থে পূণ্যার্থীরা পুজো দিচ্ছেন কপিল মুনির আশ্রমে। ভক্তদের বিভিন্ন মানসিক আছে বিভিন্ন পীঠস্থানে। কারও মানসিক কালীঘাটে। কারও বা তারকেশ্বরে। তবে যাওয়া হয়ে ওঠেনি। কারও বা মানসিক নেই, তবু দেখতে চান কেমন সেই মন্দির, কেমন দেব-দেবী। পুজো দেওয়ার ইচ্ছে দীর্ঘদিনের। সেই চাপা ইচ্ছে সফল হয়েছে তাঁদের। এক তীর্থে গিয়েই পুজো দিচ্ছেন ৬ পীঠস্থানে। দেখে নিচ্ছেন বিগ্রহ-মন্দির।

গঙ্গাসাগরে পুজো দেওয়ার পাশাপাশি ভক্তরা পুজো দিচ্ছেন কালীঘাট, তারাপীঠ, দক্ষিণেশ্বর, তারকেশ্বর, জহুরা মন্দিরে। প্রার্থনা জানাচ্ছেন কালী এবং শিবের কাছে। যেন সব ধর্মীয় পীঠস্থান মিলে ‘মহাতীর্থ’। রেপ্লিকা-থ্রিডি-আলোর ছোঁয়ায় সব যেন সত্যি। পূর্ব মেদিনীপুর, নদিয়া, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, কলকাতা’র ৬০ শিল্পী- আর্ট কলেজের পড়ুয়ারা গঙ্গাসাগরের ৪ নম্বর গেটের কাছে তৈরি করেছেন বাংলার ৫ মন্দির। তা জানা গিয়েছিল আগেই। তবে সেখানে পূণ্যার্থীদের ঢল এবং পুজো দেওয়ার জন্য জমায়েত রীতিমত নজরকাড়া। সত্যি, ‘বিশ্বাসে মিলায়…’। ‘ওপরওয়ালা’ তো থাকেন হৃদয়ে। সবচেয়ে বড় ধর্মস্থান যে অন্তর।

একনজরে সব ধর্মীয়স্থান:

কলকাতায় কালীঘাট বা কালীক্ষেত্রে দেবী কালিকা পূজিতা হন দক্ষিণা কালী রূপে। এখানে দেবাদিদেব শিব পীঠরক্ষক। তিনি পূজিত হন নকুলেশ্বর নামে। বিশ্বাস, সতীর ডান পা’য়ের ১টি (মতান্তরে ৪)টি আঙুল পড়েছিল এখানে। এই শক্তিপীঠের সঙ্গে জড়িয়ে আছে সাধক আত্মারাম ব্রহ্মচারী, দার্শনিক টলেমির নাম। চণ্ডীমঙ্গলে পাওয়া যায় এই পীঠের নাম। 

বীরভূম জেলার রামপুরহাটের কাছে ৫১ পীঠের এক পীঠ তারাপীঠ বা তারাপুর। বিশ্বাস, সতীর তৃতীয় নয়ন পড়েছিল এখানে। দেবী এখানে ‘তারা’ নামে অধিষ্ঠাত্রী। শিব এখানে চন্দ্রচূড়। এখানে শিশু শিবকে স্তন্য পান করান দেবী। এই পীঠের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বশিষ্ঠ মুনি, রসয়ানাচার্য নাগার্জুন, নাটোরের রানি ভবানী এবং বামাক্ষ্যাপা’র নাম।

উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় রয়েছে দক্ষিণেশ্বর। দেবী এখানে ভবতারিণী। এই মন্দিরের সঙ্গে জড়িয়ে আছে শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ এবং রানি রাসমনি’র নাম।

হুগলি জেলার তারকেশ্বর-এ রয়েছে দেবাদিদেব শিবের মন্দির। এখানের শিবলিঙ্গ ‘ষয়ম্ভূলিঙ্গ’। এই মন্দিরের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বিষ্ণুদাসের নাম।

মালদা জেলার জহুরা কালী মন্দিরে দেবী বিরাজমান চণ্ডীরূপে। জনশ্রুতি, ডাকাতরা দেবীর উপাসনা করতেন। মন্দিরের নিচে লুকিয়তে রাখতেন সম্পত্তি। অবাঙালি-বাঙালি মিশে প্রভাব ছিল এলাকায়। ‘জওহর’ থেকেই নাম হয়েছে ‘জহুরা’। এই মন্দিরের সঙ্গে জড়িয়ে আছে রাজা বল্লাল সেনের নাম।

আরও পড়ুন:

পুরাণ থেকে সাহিত্য, গঙ্গাসাগরের ইতিকথা 

পুরাণ থেকে সাহিত্য, গঙ্গাসাগরের ইতিকথা- ২ 

নাগা সন্ন্যাসী মানে ‘ন্যাংটো’ নয়, তাঁদের জীবনযাপন জেনে নিন…

‘আমায় কিছু দাও গো…’ গঙ্গাসাগরে হাত বাড়াচ্ছেন সাক্ষাৎ দেবতারা

আর মকরস্নানের জন্য বিখ্যাত গঙ্গাসাগর। এই স্থান মানেই কপিলমুনির আশ্রম। বিশ্বাস, তিনি বিষ্ণুর অবতার। গঙ্গাসাগরের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ইক্ষাক্কু বংশের সগর রাজা, সগর রাজার ৬০ হাজার পুত্র, ইক্ষাক্কু বংশের উত্তরপুরুষ অংশুমান, দিলীপ, ভগীরথ, দেবরাজ ইন্দ্র, প্রজাপিতা ব্রহ্মা, বিষ্ণু, দেবী গঙ্গা এবং দেবাসিদেব শিবের উপাখ্যান। উল্লেখ্য, সগর রাজা ছিলেন রামচন্দ্রের পূর্ব পুরুষ।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ ২ মে, উচ্চমাধ্যমিকের ৮ তারিখ

বেনজির কাণ্ড, বীরভূমে বিজেপির হয়ে মনোনয়ন জমা দুই প্রার্থীর

ম্যাচ ফিক্সিংয়ের মতো বিজেপি ‘অর্ডার ফিক্সিং’ করছে, তোপ অভিষেকের

অভিজিৎকে নিশানা বানিয়ে দেবাংশুকে বড় দায়িত্ব দিলেন মমতা

তমলুকে মমতার নিশানায় অভিজিৎ, বাদ পড়লেন না বিকাশও

ফের দুয়ারে ভোট, শান্তিপুর-ফুলিয়ার তাঁত শিল্পীরা হতাশার অন্ধকারেই দিন কাটাচ্ছেন

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর