নিজস্ব প্রতিনিধি, কৃষ্ণনগর: বৃষ্টির মধ্যেই বিপত্তি। নবদ্বীরের গৌরাঙ্গ সেতুর স্প্রিং ভেঙে বসে গেল গার্ডার। বুধবার সকালে ভাগীরথী নদীর ওরপর অবস্থিত সেতুটি বসে যাওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। যে কোনও সময়ে ঘটতে পারে বড় কোনও দুর্ঘটনা। আর সেকারণেই ভারী যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। অন্যদিকে নদিয়া-বর্ধমান সড়কে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সাময়িকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে দুই জেলার মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা।
কৃষ্ণনগর থেকে বর্ধমান যাওয়ার অন্যতম পথ হল নবদ্বীপের গৌরাঙ্গ সেতু। যেহেতু সহজে দুই জেলার মধ্যএ আনাগোনা যায়, তাই সেতুতে ছোট-বড় গাড়ির লাইন লেগেই থাকে। স্থানীয় চরমাজদিয়া চরব্রহ্মনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য তথা এলাকার বাসিন্দা হৃদয় ঘোষ জানান, বুধবার সকালে হঠাৎ করেই সেতুটি বসে যায়। তবে হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। যদিও বেশ কয়েকদিন ধরেই গৌরাঙ্গ সেতুর অবস্থা খারাপ হচ্ছিল বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। দীর্ঘদিন কোনওরকম সংস্কার না হওয়াতেই এই চরম পরিস্থিতি। সেতুর একদিক বসে যাওয়ায় রীতিমতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
সেতু বসে যাওয়ায় বড় ও ভারী গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। ফলে নদিয়া-বর্ধমান সড়কে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যানজটে আটকে পড়েছে বহু ট্রাকও। এক ট্রাকচালকের কথায়, ‘পুলিশ ব্রিজ বন্ধ করে দিয়েছে। সকাল থেকে বসে আছি। যেতে পারছি না। কখন খুলবে জানি না। যদি না খোলে তাহলে আরও সমস্যায় পড়ব। অনেক ঘুরে যেতে হবে’। সমস্যায় পড়েছিলেন সাধারণ মানুষ। যদিও পথচারী এবং হালকা গাড়ি ব্রিজের উপর দিয়ে যাতায়াতে ছাড় দিয়েছে পুলিশ। তবে অবিলম্বে সেতু মেরামত করা না হলে যে কতকোনও সময়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকার বাসিন্দারা।