নিজস্ব প্রতিনিধি: রবীন্দ্র স্মৃতিধন্য বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়(Viswabharati University) চিরকালই ‘ব্রাহ্ম’ মতে আস্থা রেখে এসেছে। সেই মতে আস্থা রেখেই সেখানে উপাসনা কক্ষ হিসাবে কাঁচঘর গড়ে তোলা হলেও সেখানে কোনও দেবতার মূর্তি রাখা হয়নি। কিন্তু এই বিশ্বভারতীতেই এবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কালী (Kali)পুজো বিষয়ক আলোচনা চক্র আয়োজন করেছে। এদিন অর্থাৎ সোমবার থেকেই সেই আলোচনা চক্র শুরু হয়েছে। আর তার জেরে এদিন সকাল থেকেই টানটান উত্তেজনা শান্তিনিকেতন(Shantiniketan) সহ বিশ্বভারতী জুড়ে। এদিন কালীপুজো বিষয়ক আলোচনা চক্রের আসর বসেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল লাইব্রেরির সেমিনার হলে। উপস্থিত রয়েছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ও শ্রীসারদাত্মানন্দ মহারাজ। শেষেরজনই এদিনের অনুষ্ঠানের মূল বক্তা। কিন্তু এই আলোচনা চক্র নিয়েই পারা চড়ছে বিশ্বভারতীতে।
জানা গিয়েছে, ‘ব্রাহ্ম’ বিশ্বভারতীতে কালীপুজো বিষয়ক আলোচনা চক্র নিয়ে ক্ষুব্ধ শান্তিনিকেতনের আশ্রমিকেরা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা(Students)। তাঁরা বিক্ষোভ প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আশ্রমিকদের দাবি, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাবা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর নির্জন প্রকৃতির মাঝে নিরাকার ব্রহ্মের উপাসনার জন্য শান্তিনিকেতন প্রতিষ্ঠা করেন। কোনও দেবদেবীর আরাধনা বা মূর্তিপুজো এখানে হয় না। সেখানে কালীপুজোর রীতি নিয়ে কেন আলোচনা সভার আয়োজন করা হবে? আর কেনই বা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেই আয়োজন করবে? বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কী বিশ্বভারতীর ব্রাহ্মবাদকে খণ্ডন করতে উঠে পড়ে লেগেছে?’ শেষ খবর পাওয়া অনুযায়ী এই আলোচনা চক্রের জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল লাইব্রেরির সেমিনার হলের বাইরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে পড়ুয়ায়দের সংগঠন। উল্লেখ্য, এর আগেই এই আলোচনা চক্র যাতে না হয় তার জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠনের তরফে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাতে কর্ণপাত করেনি। এখন দেখার বিষয় এই ঘটনার জেরে আবারও বিশ্বভারতীতে অচলাবস্থা নেমে আসে কিনা।