নিজস্ব প্রতিনিধি: সবে খুলেছে স্কুল। অতিমারির ভয় কাটিয়ে বিদ্যালয় আসতে শুরু করেছে পড়ুয়ারা। পড়ার পাশাপাশি চলছে খেলা, হাসি, গল্প আর টিফিনভাগ করে খাওয়া। শনিবার স্কুল শুরুর আগে ছাত্রীরা দেখে গেটের সামনে বরফগোলা বিক্রি হচ্ছে আগের মত। অনেকদিন পর তা দেখে আত্মহারা হয় ছোট ছোট পড়ুয়ারা। তাই দেখে ছুটে যায় তারা। দল বেঁধে কেনে বিভিন্ন স্বাদের বরফ (Ice)গোলা। আর হাতে পাওয়া মাত্রই মুখে। এরপরেই অসুস্থ হয়ে পড়ে বহু ছাত্র- ছাত্রী। তাদের ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। বর্ধমানের সামন্তী উচ্চ বিদ্যালয়ের ঘটনা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য।
জানা গিয়েছে, বর্ধমানের শক্তিগড় এলাকায় রয়েছে সামন্তী উচ্চ বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয় বর্ধমান- ২ ব্লকের হাটগোবিন্দপুরে অবস্থিত। স্কুলের সামনে বিক্রি হচ্ছিল বরফগোলা। স্কুল শুরুর আগে সেই বরফগোলা খায় বিদ্যালয়ের ছাত্র- ছাত্রীরা। এরপর সকাল সাড়ে ১০ টায় শুরু হয় প্রার্থনা। লাইনে দাঁড়িয়েই অসুস্থ হয়ে পড়ে একের পর এক পড়ুয়া। এরপর তাদের মুখ- চোখে জল দেওয়া হয়। পড়ুয়ারা কিছুটা সুস্থতা অনুভব করে। তারপর শুরু হয় ক্লাস। কিন্তু তারপরে দেখা যায়, আরও অনেক পড়ুয়া অসুস্থতা অনুভব করছে। কয়েকজনের শ্বাস কষ্ট শুরু হয়। সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যালয়ের তৎপরতায় তাদের নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় মেমারী- ১ ব্লকের পারহাটি হাসপাতালে (Hospital)। তাদের সংখ্যা প্রায় ২০। এদের মধ্যে রয়েছে পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণির পড়ুয়া। বেশিরভাগ জনই পঞ্চম শ্রেণির। এরপর শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা করেন চিকিৎসকরা। কয়েকজনকে তখনই প্রাথমিক চিকিৎসা করে ছেড়ে দেওয়া হয়। ভর্তি করা হয় প্রায় ১৪ জনকে। তাদেরও অবস্থা গুরুতর নয়। শনিবারেই ছেড়ে দেওয়া হতে পারে তাদের। শুধু আরও ১-২ জনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
এই ঘটনায় বিদ্যালয়ের (School) একাংশ ও অভিভাবকরা মনে করছেন, বরফগোলা খেয়ে বিষক্রিয়া হয়েছে পড়ুয়াদের। তবে চিকিৎসকদের (Doctor) পক্ষ থেকে সম্পূর্ণ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এই দাবি। চড়া রোদ থেকে এসে বরফ খাওয়ার জন্যই দেহে অস্বস্তি বোধের এই ঘটনা ঘটেছে। চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এতে বিষক্রিয়ার লক্ষণ নেই। ওদের মাথা ঝিমঝিম করছিল, ঘুরছিল। অনেকে বেশি নার্ভাস হয়ে পড়ে তাই খিঁচুনি দেখা গিয়েছিল। আসলে এটা ডি হাইড্রেশন আর মাস প্যানিক। এখন সকলেই স্থিতিশীল বলেও জানানো হয়েছে হাসপাতাল সূত্রে।