নিজস্ব প্রতিনিধি: একুশের নির্বাচনে শাহ-নাড্ডা-রাজনাথ সিংদের জনসভা ছিল ফ্লপ। উত্তরবঙ্গ থেকে জঙ্গলমহল, পাহাড় থেকে সমতল একের পর এক দিল্লির নেতাদের জনসভা বাতিল হচ্ছিল লোকের জমায়েতের অভাবে। বিধানসভায় ব্যাপক ভোট পেয়ে ফেড় ক্ষমতায় তৃণমূল। আগামী ৩০ তারিখ চার বিধানসভায় উপনির্বাচন। এর মধ্যে শান্তিপুর আসন একুশের নির্বাচনে জয়ী হয় বিজেপি। সাংসদ জগন্নাথ সরকার বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়ে লোকসভাতেই থাকায় ফের নির্বাচন হচ্ছে সেই আসনে। আর শান্তিপুরে প্রচারে গিয়ে ধাক্কা খেলেন খোদ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। জনশূন্য শুভেন্দুর সভা ঘিরে নন্দীগ্রামের নেতার রাজ্য রাজনীতিতে গুরুত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
যদিও শুভেন্দু শুক্রবার অস্বীকার করেছেন। তিনি সভা ফ্লপ হয়েছে মানতে নারাজ। পাল্টা জানিয়েছেন, ‘উপনির্বাচনের প্রাক্কালে কোভিড বিধি মেনে সীমিত সংখ্যক সমর্থকদের নিয়ে আমরা এই সভা আয়োজন করেছি। রাজ্যের শাসক দল এখানে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করেছে। কোভিড বিধি মেনে এক হাজারের বেশি মানুষ নিয়ে সভা করা যায় না। এই সভায় এক হাজারের বেশি মানুষ ছিল।’ যদিও মঞ্চের সামনের আসনেই গোটা দশকের বেশি লোক ছিল না বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।
যদিও শুভেন্দুর আত্মবিশ্বাস চার আসনেই বিজেপি জিতবে। তিনি জানিয়েছেন, ‘রাজ্যের উপনির্বাচনে গুলিতে বাজিমাৎ করবে বিজেপি। বিষয়টি নিয়ে ১০০ শতাংশ আশাবাদী আমি।’ কেন সভায় লোক হয়নি? সাংবাদিকদের প্রশ্নে মেজাজ হারাতেও দেখা যায় শুভেন্দুকে। উপনির্বাচনের জনসভায় করোনা বিধি মানলেও এলাকার বিজেপি কর্মী এমনকি সমর্থক চোখেই দেখা যায়নি। যা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল কংগ্রেস।