নিজস্ব প্রতিনিধি: গর্ভবতী মহিলা এসেছিলেন চেক আপ করাতে। কিন্তু তা আর হল না তীব্র রোদ কেড়ে নিল মা হতে যাওয়া গৃহবধূর প্রাণ। তাঁর বয়স ছিল মাত্র ২২ বছর। পুরুলিয়ার ঘটনা। সেখানে দুপুরে তাপমাত্রা ছিল প্রায় ৪২ ডিগ্রি। দুপুরের এই ঘটনায় এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে চাঞ্চল্য।
বৃহস্পতিবার পুরুলিয়া শহরে এসেছিলেন গৃহবধূ। তাঁর নাম চৈতালি মাহাতো। বাড়ি পুঞ্চার নপাড়া গ্রামে। ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন তিনি। তাই শারীরিক পরীক্ষা করাতে এসেছিলেন শহরে। রোদে বেশ কিছু সময় ঘুরতে হয়েছিল তাঁকে ও তাঁর স্বামী মনোজ মাহাতোকে। স্বামী জানিয়েছিলেন, রোদে ঘোরার পর একটি হোটেলে খেতে ঢুকেছিলেন তাঁরা। স্বামী জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রী বাইরে বলছিলেন শরীর খারাপ লাগছে। তাই খাবার খেতে হোটেলে ঢোকা। কিন্তু হোটেলে ঢুকতেই লুটিয়ে পড়েন তাঁর স্ত্রী। তারপর স্বামী স্ত্রীকে নিয়ে যান স্থানীয় হাসপাতালে। হাসপাতালে দেহ পরীক্ষা করে চিকিৎসকরা চৈতালিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সান স্ট্রোক (Sun Stroke) থেকেই এই মৃত্যু। এই ঘটনায় এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মৃতার পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। মৃতার উচ্চ রক্তচাপ ছিল।
স্বাস্থ্য দফতর (Health Department) থেকে বারবার সচেতন করে বলা হচ্ছে, সকাল ১১ টা থেকে বিকেল ৪ টে পর্যন্ত রোদে বাইরে বেরোতে না। বেরালেও টুপি, হালকা রঙের পোশাক পরে বেরোতে। আরও বলা হচ্ছে, ঘনঘন জল পান করতে আর ওআরএস খেতে। তবে চড়া রোদে বা রোদ থেকে ফিরেই জল পান করতে না বলা হয়েছে। একই ভাবে রোদ থেকে ফিরেই স্নান না করতে বা প্রথমে মাথায় জল না দিতে বলা হয়েছে। বেশি মশলাদার খাবার এড়িয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি, কালনায় পুকুর পরিষ্কার করতে গিয়ে, হাওড়ায় এক টোটো চালক, নৈহাটি জুট মিলের এক শ্রমিক, দিঘার কাছে লোকাল ট্রেন থেকে ছিটকে পড়ে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। সবকটি মৃত্যুই রোদ ও গরমের কারণে হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে গর্ভবতী মহিলার মৃত্যুও (Death) একই কারণে হয়েছে বলে দাবি।