নিজস্ব প্রতিনিধি: নিজাম প্যালেস থেকে আসানসোল সিবিআই আদালত পথ অনেকটা। সকাল ৭ টা ১০ নাগাদ সিবিআই কনভয় রওনা দেয় কলকাতা থেকে। তবে আধিকারিক বা অনুব্রত, কারওরই ব্রেকফাস্ট করা হয়নি অত সকালে। তাই মাঝে গাড়ি দাঁড়াল শক্তিগড়ে। সেখানেই ব্রেকফাস্ট করলেন অনুব্রত এবং কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (CBI) আধিকারিকরা।
এদিন আসানসোলে আসার আগে অনুব্রত (ANUBRATA MONDAL) বলেছেন, বিচারপতির উদ্দেশ্যে কে হুমকি চিঠি দিয়েছে, তা জানতে তিনি সিবিআই তদন্তের আবেদন জানাবেন। তা শুনে চোখ কপালে উঠেছে খোদ সিবিআই আধিকারিকদেরই। যে সিবিআইয়ের বিরোধিতা করে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি, সেই সিবিআই তদন্ত চাইছেন জোড়াফুল শিবিরের নেতা। উল্লেখ্য, এদিন সিবিআইয়ের সামনেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে কটাক্ষ করে কেষ্ট বলেছেন, ‘তোতাবুলি’। এ যেন ফের স্বমহিমায় ফিরছেন কেষ্ট।
এদিকে বিচারপতিকে হুমকি চিঠির জেরে আদালত জুড়ে জারি কড়া নিরাপত্তা। নির্দেশ, এদিন ঢুকতে পারবে শুধু বাদী ও বিবাদী পক্ষ। অনুব্রত মণ্ডলকে জামিন না দিলে বিচারপতি ও তাঁর পরিবারকে মাদক মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিয়ে এসেছে চিঠি। সেই চিঠির প্রেরকের জায়গায় নাম, বাপ্পা চট্টপাধ্যায়ের। তিনি বর্ধমান এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের হেড ক্লার্ক। এই ঘটনার তদন্তে নেমেছিল আসানসোল- দুর্গাপুর পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের দাবি, চিঠি দেননি বাপ্পা চট্টপাধ্যায়। তাঁর নাম ভাঁড়িয়ে অন্য কেউ হুমকি চিঠি দিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, খতিয়ে দেখা হচ্ছে স্ট্যাম্প ও সই।
এদিন অনুব্রত আসানসোলে রওনা দেওয়ার আগে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, জামিন পাবেন কি না? উত্তরে তিনি বলেছিলেন, আদালত জানে। এরপরে শক্তিগড়ে ব্রেকফাস্ট করতে দাঁড়ানোর সময় তাঁকে দেখতে ভিড় জমান অনেকে। তাঁকে প্রাতঃরাশ সেরে বেরোতে দেখে ‘অনুগামী’দের প্রশ্ন, ‘ও দাদা ল্যাংচা খেলেন?’ উত্তরে তিনি হাত নেড়ে বলেন, না। সুগার আছে, তাই মিষ্টি বাদ। ব্রেকফাস্ট তিনি মুড়িতেই সেরেছেন বলেও জানান কেষ্ট।