নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলা(Bengal) দখলে আসা গেরুয়া ব্রিগেডের নেতারাই কিনা অভিযুক্ত বাংলার এক মহিলাকে গণধর্ষণ(Gangrape) করার। সেই মামলা প্রথমে দায়ের হয়েছিল কলকাতার আলিপুর আদালতে(Alipur District Court)। সেই মামলায় নির্যাতিতা ৩ বিজেপি(BJP) নেতার বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ FIR হিসাবে দায়েরের অনুমতি চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দেয় আলিপুর আদালত। তখন নির্যাতিতা কলকাতা হাইকোর্টে(Calcutta High Court) মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় হাইকোর্ট ৩জন বিজেপি নেতার বিরুদ্ধেই FIR দায়ের করার অনুমতি দেয়। সেই রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে(Supreme Court) যান ৩ বিজেপি নেতা। কিন্তু এদিন সেখানেই ধাক্কা খেয়েছেন তাঁরা। দেশের শীর্ষ আদালত মামলাটিকে আলিপুর আদালতে ফেরত পাঠিয়েছে। সঙ্গে নির্দেশ দিয়েছে, মামলাটির নতুন করে শুনানি করে বিচার-বিবেচনা করতে হবে। আলিপুর আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটই ঠিক করবেন ৩ বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে FIR দায়ের হবে কিনা। আর এই ৩ নেতা হলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়(Kailash Vijaybargiya), প্রদীপ যোশী ও জিষ্ণু বসু।
আরও পড়ুন অমর্ত্যের জমির দখল নিতে পারবে না বিশ্বভারতী, নির্দেশ হাইকোর্টের
২০১৮ সালে দলেরই এক প্রভাবশালী নেত্রীকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে বঙ্গ বিজেপির তৎকালীন পর্যবেক্ষক তথা কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র বিরুদ্ধে। নাম জড়ায় প্রদীপ যোশী এবং জিষ্ণু বসুরও। এঁদের মধ্যে প্রদীপকে পরে বরখাস্ত করে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। আর জিষ্ণু বসু রাজ্যের শীর্ষ RSS নেতা। অভিযোগ, সেই ঘটনার পর থেকেই ওই মহিলা এবং তাঁর পরিবারকে খুনের হুমকি দেওয়া শুরু হয়। এই ঘটনায় ২০১৯-এ সরশুনা এবং ২০২০-এ বোলপুর- দুই থানায় দুটি অভিযোগ দায়ের হয়। ২০২০-তে আলিপুর নিম্ন আদালতের দ্বারস্থ হন ওই মহিলা। এবার সেই মামলাই সুপ্রিম কোর্ট থেকে ফিরল নিম্ন আদালতে। এদিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এম আর শাহের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ কৈলাসকে বিন্দুমাত্র স্বস্তি না দিয়েই মামলা আলিপুর আদালতে ফেরত পাঠাল। আইনজীবী মহলের একাংশের ধারনা, যে যেহেতু কলকাতা হাইকোর্ট আগেই কৈলাস সহ ৩ বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে গণধর্ষণের FIR করার অনুমতি দিয়েছিল এবং সুপ্রিম কোর্ট সেই নির্দেশে কোনও স্থগতিদেশ দেয়নি তাই আলিপুর আদলতও সেই পথেই হাঁটা দেবে। অর্থাৎ গণধর্ষণের বিরুদ্ধে FIR দায়ের করার অনুমতি দেবে।