এই মুহূর্তে




কৌশিকী অমাবস্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় অনলাইনে পুজো দেওয়ার প্রতারণা চক্র সক্রিয়




নিজস্ব প্রতিনিধি ,বীরভূম: সোমবার ভাদ্র মাসের কৌশিকী অমাবস্যা। আর তার আগে তারাপীঠে কৌশিকী তিথি আসতেই ফের সোশ্যাল মিডিয়ায় অনলাইনে পুজো দেওয়ার প্রতারণা চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। নজর রাখছে পুলিশ।ধর্মবিশ্বাসী মানুষজনের পুজো দেওয়ার জন্য হাজার হাজার টাকা পাঠিয়ে প্রতারিত হচ্ছেন। আর এই বিষয় নিয়েই বেশ কয়েকদিন আগে তারাপীঠ মন্দির কমিটির তরফ থেকে সিউড়ি সাইবার ক্রাইমে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল।আর সেই অভিযোগের পর কিছুদিন সেই বারবাড়ন্ত কম থাকলেও আবার কৌশিকী অমাবস্যার আগে মাথাচড়া দিয়ে উঠেছে এই প্রতারণা চক্র(Fraud Racket)। এদিকে অসাধু চক্রের খপ্পরে না পরার জন্য আবেদন জানাচ্ছেন মন্দির কমিটি ও পুলিশ। মন্দির কমিটির পষ্ট দাবি ,এইরকম কোন অনলাইন মাধ্যমে পূজো দেওয়ার ব্যবস্থা নেই। তারাপীঠের সবচেয়ে বড় উৎসব এই কৌশিকি অমাবস্যা।এই উৎসব মানেই তারাপীঠের লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম।প্রত্যেক বছর এই অমাবস্যা তিথিতে কয়েক লক্ষ মানুষের সমাগম ঘটে। এই বছরেও তার অন্যথা হবে না।আর সেই কারণেই ইতিমধ্যেই প্রশাসনের তরফ থেকে গোটা তারাপীঠ চত্বরকে কড়া নিরাপত্তা চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে।

আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বেশ কিছু অসাধু ব্যক্তিরা নিজেদের চক্র চালাচ্ছেন। কেউ আবার দেবীর নামে ওয়েবসাইটে অ্যাপ বানিয়ে বিভিন্ন রকমের পুজোর ডালার দাম নির্ধারিত করে দিয়েছেন। একটা ইংরেজিতে লেখা রয়েছে বুক, আর সেখানে ক্লিক করলেই বিভিন্ন পুজোর দেওয়ার তালিকা খুলে যাচ্ছে। মূলত করোনা পরিস্থিতির সময় এই প্রতারণা চক্র কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। কারণ করোনা সংক্রমণ রোধের জন্য প্রশাসনের তরফ থেকে কাউকে বাড়ির বাইরে বের হতে দেওয়া হচ্ছিল না। আর সেই সময়েই সাধারণ মানুষজন অনলাইন কেনাবেচার উপর অনেকটাই নির্ভরশীল হয়ে গিয়েছিলেন। আর সেই সুযোগেই প্রতারণা চক্র সক্রিয় হয়ে ওঠে। বাদ যায়নি দেব দেবী এবং মন্দিরও তীর্থস্থান। তখন থেকেই রাজ্যের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র বিশেষ করে তারাপীঠের মত এলাকায় প্রতারকদের জাল বিস্তৃত হয়েছে। সারা বছর চুপচাপ থাকলেও বিভিন্ন তিথিতে সক্রিয় হয়ে ওঠে তারা। আর ধর্ম বিশ্বাসী মানুষজন তাদের চক্রে পড়েই পকেট ফাঁকা হচ্ছে তাদের। তারাপীঠ মন্দির(Tarapith Temple) কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় জানান, মন্দিরের কোন অনলাইন ওয়েবসাইট নেই। তিনি জানান,প্রত্যেকটি পর্যটক এর নিজস্ব কোন না কোন পুরোহিত রয়েছে। যদি আপনি পুজো দিতেই চান তাহলে সেই সমস্ত পুরোহিতদের ফোন করে পুজো দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। কোন অনলাইন চক্করে পড়বেন না।

এদিকে, রাত পেরোলেই সোমবার কৌশিকী অমাবস্যা। আর এই কৌশিকী অমাবস্যায় বীরভূমের তারাপীঠে কয়েক লক্ষ ভক্তের সমাগম ঘটে। দূর দূরান্ত থেকে সাধু সন্তরা এসে এই কৌশিকি অমাবস্যায় তারাপীঠের হোম যজ্ঞ করে থাকেন।কোনরকম যাতে কোন বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি না হয় তার জন্য প্রশাসনের তরফ থেকে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেহেতু এই কৌশিকই অমাবস্যায় তারাপীঠে কয়েক লক্ষ ভক্তের সমাগম ঘটে তাই প্রশাসনের তরফ থেকে কড়া নজরদারি ও নিরাপত্তার এবং কোনো রকম যাতে কোনো প্রকার যানজট সৃষ্টি না হয় তার জন্য তারাপীঠে প্রেসমিট করেন বীরভূম জেলার পুলিশ সুপার(SP) রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়। এই অমাবস্যার দিন যাতে কোনো অটো বা কোনো গাড়ির ভাড়া বেশি না নেই সেটা নিয়েও পুলিশ সতর্ক বলে জানান তিনি।আসন্ন কৌশিকী অমাবস্যায় আঁটোসাটো নিরাপত্তার বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা তারাপীঠ।তারাপীঠে,অতিরিক্ত ২০০ সিসি ক্যামেরা,মহিলা তীর্থযাত্রীদের জন্য রয়েছে উইমেন্স টিম। রবিবার দিন বিকেলে থেকেই অটো ও ট্রেকার বাদে অন্যান্য যানবাহন প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি।গতবছর কৌশিকী অমাবস্যা তিথিতে আগের দিন সকাল ৮টা থেকেই পুণ্যার্থীদের প্রাইভেট গাড়ি তারাপীঠে প্রবেশ করতে দেয়নি পুলিশ।

যার জেরে এবার যাত্রী সমাগমে ভাটা পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন হোটেল মালিকরা। এবছর সোমবার ভোর ৫টা নাগাদ কৌশিকী অমাবস্যা তিথি শুরু হবে।থাকবে পরের দিন সকাল ৬টা ২৯মিনিট পর্যন্ত।এবার অবশ্য পুলিশ অনেক আগেই থেকে হোটেল মালিকদের সঙ্গে মিটিং করে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, আগের দিন বিকেল ৪টের পর পুণ্যার্থীদের প্রাইভেট গাড়ি প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। সেখান থেকে অটো বা ট্রেকারে চেপে যাতায়াত করতে পারবেন পুণ্যার্থীরা।সেই সঙ্গে যে সমস্ত প্রাইভেট গাড়ি নির্দিষ্ট সময়ের আগে তারাপীঠে প্রবেশ করবে, সেই গাড়িগুলি হোটেলের নির্দিষ্ট পার্কিংয়ে রাখতে হবে।রাস্তার ধারে গাড়ি দাঁড় করানো থাকলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।ভিন জেলার পুলিশ মিলিয়ে ৩০০০ ফোর্স মোতায়েন থাকবে।যা গতবারের থেকে বেশি।থাকবে অ্যান্টি ক্রাইম টিম।বিভিন্ন রাস্তা মিলিয়ে ২৭টি ড্রপ গেট করা হয়েছে।এবার কৌশিকী তিথি উপলক্ষ্যে অতিরিক্ত আরও ২০০টি সিসিটিভি ক্যামেরা(CCTV) ও ন’টি ওয়াচ টাওয়ার এবং একাধিক ড্রোন ক্যামেরা উড়িয়ে গোটা তারাপীঠে নজরদারি চালানো হবে।এবার ভীড়ের মধ্যে চুরি রুখতে পর্যটকদের ভিড়ে মিশে থাকবে সাদা পোশাকের পুলিশ।থাকবে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীরাও।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

কৃষ্ণগঞ্জে জলের তোড়ে ভেঙ্গে গেল শিবনিবাসে অস্থায়ী বাঁশের সেতু , বন্ধ নদী পারাপার

বন্যা পরিস্থিতি দেখতে গিয়ে স্পিডবোট উল্টে জলে পড়লেন জেলাশাসক-সাংসদ

ডিভিসি’র ছাড়া জলে প্লাবিত হুগলি ও মেদিনীপুর, কেশপুরে ১০ বছরের নাবালকের মৃত্যু

ডিভিসি জল ছাড়ায় ভয়াবহ পরিস্থিতি পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে, প্লাবিত বহু এলাকা

সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল নিরাপত্তা বেষ্টনী পরিদর্শন পুলিশ সুপারের

মহারাষ্ট্রে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকের রহস্য মৃত্যু

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর