নিজস্ব প্রতিনিধি: দু’দিন ধরে প্রবল বৃষ্টিতে জল বেড়ে দুর্যোগ বাড়ায় তিস্তা। তাই বুধের সকালেই তিস্তার উভয় পাড়েই জারি হয় লাল সতর্কতা। নদীর জল ঢুকে গিয়েছে গ্রামের পর গ্রামে। বাড়িতে বুক-সমান জল। ফলে বাড়ি ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে এসেছেন প্রত্যেকে। বানভাসি পরিস্থিতি সরজমিনে খতিয়ে দেখতে এলাকায় এলাকায় রাতভর ঘুরেছেন জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার। তবে বৃষ্টি কিছুটা কমেছে পাহাড়ে। তাই তিস্তার জল কমছে, উন্নতি হচ্ছে পরিস্থিতির। তা প্রশাসনের তরফে লাল সতর্কতা বিধি তুলে নেওয়া হয়েছে বলে খবর। তবে শুধুমাত্র তিস্তার অসংরক্ষিত এলাকা দোমহনী থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত জারি রয়েছে হলুদ সংকেত।
বুধবার সন্ধ্যাতেই সেচ দফতরের তরফে লাল সতর্কতা তুলে নেওয়া হয়। আজ সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত তিস্তা ব্যারেজের জল ছাড়ার পরিমাণ কমেছে। মোট ২৬৪০.৯৬ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। গত সোমবার পাহাড়ে মেঘ ভাঙা বৃষ্টির জেরে তিস্তার জল আরও বাড়ে। তিস্তা ব্যারেজ থেকে দফায় দফায় ছাড়া হয় ৪ হাজার ৫০১ কিউসেক জল। পাশাপাশি ভুটান পাহাড়ে অবিরাম বৃষ্টির জেরে জলঢাকা নদীতেও জলস্তর ক্রমশ বাড়ছে। আর এর জেরে জলঢাকা নদীর উভয় পারে জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা।
তিস্তা নদীর জল জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন অসংরক্ষিত এলাকার সারদাপল্লী, সুকান্তনগরে ঢুকে প্লাবিত হয়েছে। এই সমস্ত এলাকার বাসিন্দারা নিরাপদ স্থানে সরে এসেছেন। কেউ আবার নদী বাঁধের ওপর পলিথিন টাঙিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। জেলার সবকয়টি ব্লক তিস্তা কিংবা জলঢাকার জলে প্লাবিত হয়েছে। সদর, রাজগঞ্জ,ময়নাগুড়ি, ক্রান্তি প্রভৃতি ব্লকের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তিস্তা নদীর জল। চাপাডাঙা, নন্দনপুর, পাতকাটা-সহ বেশ কিছু নিচু এলাকার অন্তত দশ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে প্রশাসনের তরফে।