নিজস্ব প্রতিনিধি: জুডো, ক্যারাটে বা এই ধরনের মার্শাল আর্টে পারদর্শী মহিলাদের পুলিশের চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিতে চায় রাজ্য সরকার। সম্প্রতি মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মহিলা পুলিশ নিয়োগ সংক্রান্ত নিয়মাবলি সংশোধনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা।মঙ্গলবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের মন্ত্রিসভার বৈঠকে কেবলমাত্র কলকাতা পুলিশে মহিলা প্রার্থী নিয়োগের ক্ষেত্রেই নিয়মাবলি সংশোধনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের কথা ছিল। তবে সূত্রের খবর, মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শুধু কলকাতা পুলিশে নয়। প্রতিটি জেলা ও অন্যান্য পুলিশ কমিশনারেটেও এই ধরনের মহিলা নিয়োগ করতে হবে, যাঁরা খেলাধুলোয় পারদর্শী। এঁদের নিয়ে গঠন করতে হবে আলাদা বাহিনী। ফলে শুধু কলকাতা নয়, সারা রাজ্যের মহিলা পুলিশ নিয়োগের ক্ষেত্রেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হচ্ছে। রাজ্য সরকার প্রায় সাড়ে চার হাজার এ ধরনের মহিলা কনস্টেবল নিয়োগ করতে আগ্রহী বলে জানা গিয়েছে।
নবান্ন সূত্রের খবর, প্রতিনিয়ত বদলাচ্ছে অপরাধের ধরন। বদল হচ্ছে বিক্ষোভ-সমাবেশের চরিত্রেও। আর সে কারণেই আত্মরক্ষায় পারদর্শী মহিলা পুলিশের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। বর্তমানে রাজ্য পুলিশে মহিলা রয়েছে। মহিলা কনস্টেবল রয়েছে কলকাতা পুলিশেও। কিন্তু পারদর্শিতার মানদণ্ডে সংখ্যায় তা কম। ক্যারাটে বা জুডো খেলায় পারদর্শী মহিলাদের বেশি সংখ্যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে পুলিশে নিয়োগ করা হলে ভালো ফল মিলবে বলে মনে করছেন অনেকে। কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার প্রসূন মুখোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে বলেন, ”রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত খুবই ভালো উদ্যোগ। এতে ক্রীড়া জগতের মহিলাদের পুলিশে যোগ দেওয়ার আগ্রহ বাড়বে। অন্যান্য রাজ্যে রয়েছে। সেখানে কোনও কর্মী জাতীয় বা রাজ্য স্তরে ভালো ফল করলে পদোন্নতির সুযোগ থাকে।” অন্যদিকে রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের মতে, প্রাথমিক ভাবে গোটা রাজ্যে বেশ কিছু মহিলা পুলিশের ডিভিশন করা হবে। ডিভিশনের সংখ্যাটা হবে প্রায় দেড়শো। প্রত্যেক ডিভিশনে অন্তত ৩০ জন করে এমন মহিলা কনস্টেবল থাকবেন, যাঁদের কম্যান্ডো স্টাইলে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।