নিজস্ব প্রতিনিধি: অপরাধ দমনে ও অন্যায় রুখতে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার পুলিশ ও প্রশাসনকে কড়া হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এবার মুখ্যমন্ত্রীর সেই নির্দেশের প্রতিফলন দেখা মিলল পুলিশের ভূমিকায়। পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে এবার গ্রেফতার হলেন খোদ রাজ্যের শাসকদলের তিন নেতা কর্মী। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাটের মিনাখাঁয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আদালতের সমন পেয়ে হাজিরা না দেওয়ার অভিযোগ ছিল এক তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। মিনাখাঁর বাসিন্দা ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে বুধবার এলাকায় যায় পুলিশ। কিন্তু গ্রামে যাওয়ার পর পুলিশকে বাধা দেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। পুলিশের সঙ্গে তাদের রীতিমত শুরু হয় কথা কাটাকাটি। বচসায় জড়িয়ে পড়েন পুলিশের সঙ্গে তারা। এর পরই পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ৩ তৃণমূল নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মিনাখাঁ গ্রামের বাসিন্দা সাইফুদ্দিন মোল্লা কয়েকদিন আগে মারামারির অভিযোগে আদালতের সমন পায়। কিন্তু নানা কারণ দেখিয়ে বার বার হাজিরা এড়াচ্ছিল ওই অভিযুক্ত। এর পর বুধবার মিনাখাঁ থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে গ্রামে গেলে পুলিশকে বাধা দেয় স্থানীয় তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের নাম যথাক্রমে, আশরাফুল ইসলাম লস্কর, আব্দুল হামিদ আলি মোল্লা এবং আমিরুল মোল্লা। আশরাফুল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি। আব্দুল হামিদ চাঁপালি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান এবং আমিরুল তৃণমূল কর্মী হিসেবে এলাকায় পরিচিত। বৃহস্পতিবার ধৃতদের বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক আশরাফুল এবং আমিরুলকে ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। এদিন উপপ্রধান আব্দুল হামিদকেও নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।