নিজস্ব প্রতিনিধি: মকর সংক্রান্তির দিনও বাঘের আতঙ্ক সুন্দরবন এলাকায়। গোসাবা, কুলতলির পর এবার পাথরপ্রতিমাতে বাঘের আতঙ্কে ঘুম উড়েছে গ্রামবাসীদের। পাথরপ্রতিমা ব্লকের পূর্ব শ্রীপতিনগরে মৎস্যজীবীরা প্রথমে বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পান। সেই খবর গ্রামবাসীদের কানে যেতেই আতঙ্ক শুরু হয়ে যায়। কুলতলির বাঘকে ঘিরে বছরের শেষে আতঙ্ক তাড়া করেছিল শেখপাড়ার বাসিন্দাদের। এরপর গোসাবাতে লোকালয়ে বাঘ ঢুকলেও তা সহজেই টোপ দিয়ে ধরে ফেলে বন দফতরের কর্মীরা। এবার ফের বাঘ লোকালয়ের কাছে চলে এসেছে বলেই জানা গিয়েছে। তবে এই মুহূর্তে ডোরাকাটার অবস্থান জানা যায় নি।
গ্রামবাসীদের অনুমান বৃহস্পতিবার রাতেই গ্রামে ঢুকে পড়েছে বাঘটি। গত নভেম্বরে পাথরপ্রতিমার হেরম্ব গোপালপুর অঞ্চলে দক্ষিণ কাশীনগরে জঙ্গল লাগোয়া নদীর চরে বাঘের পায়ের ছাপ দেখা গিয়েছিল। কিন্তু প্রকাশ্যে দেখা যায় নি রয়্যাল বেঙ্গলটিকে। পাথরপ্রতিমাতেও রয়্যাল বেঙ্গলের অবস্থান স্পষ্ট নয়। তাই চিন্তা বাড়ছে গ্রামবাসীদের। ইতিমধ্যেই বন দফতরে খবর দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। গত বৃহস্পতিবারই বাঘের লোকালয়ে চলে আসা নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও দফতরের আধিকারিকরা। কীভাবে লোকালয় থেকে দূরে রাখা যায় রয়্যাল বেঙ্গলকে আলোচনা হয়েছে সেই বিষয়ে।
মূলত আলোচনায় স্থির হয়েছে, সুন্দরবনের নদী লাগোয়া গ্রামের চারিদিকে জাল দিয়ে ঘেরা হবে ও ফেন্সিং দিয়ে মুড়ে ফেলা হবে। যাতে বাঘ আর লোকালয়ে ঢুকতে না পারে। আবার বাঘেরও যাতে না ক্ষতি হয় সেই দিকেও নজর দিচ্ছে বন দফতর।