নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হতে বাকি আছে আরও এক বছরেরও বেশি সময়। তার আগেই উত্তর ২৪ পরগনা(North 24 Pargana) জেলা থেকে মুছে গেল গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে বিজেপির(BJP) ক্ষমতা দখলের শেষ নিদর্শনটুকুও। আর সেটাও এমন একটা এলাকা যেখানে বসবাস করেন খোদ রাজ্যের এক দাপুটে সাংসদ, যিনি আবার কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীও। শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বনগাঁ মহকুমার গাইঘাটা ব্লকের ধরমপুর-২(Dharampur) গ্রাম পঞ্চায়েতের তাত্ত্বিকভাবে ক্ষমতা হারাল বিজেপি। কার্যত সেই পঞ্চায়েত চলে গেল তৃণমূলের(TMC) দখলে। যদিও সরকারি ভাবে এখনও এই গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষমতায় বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধানই রয়ে গিয়েছেন। তবে এটাও ঠিক খুব শীঘ্রই সেখানে প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে চলেছে তৃণমূল। আর এই ঘটনা বঙ্গ বিজেপিতে একটা বড় আঘাতই হতে চলেছে। কেননা যে ব্লকে এই ঘটনা ঘটছে সেই গাইঘাটা ব্লকের ঠাকুরনগরেই বাড়ি বনগাঁর বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর(Shantanu Thakur)। সেই হিসাবে বলা যেতেই পারে শান্তনুর গড়েই বিজেপিকে জোর ধাক্কা দিয়ে দিল তৃণমূল।
২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ধরমপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৬টি আসনের মধ্যে ৮টি আসনই গিয়েছিল বিজেপি দখলে। তৃণমূলের দখলে যায় ৬টি আসন। ২টি আসনে জিতেছিল নির্দল প্রার্থীরা। সেই সময় ১ নির্দল প্রার্থীর সমর্থনে বোর্ড গড়েছিল বিজেপি। গত বছর অপর এক নির্দল প্রার্থী তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় জোড়াফুলের সদস্য সংখ্যা বেড়ে হয় ৭। এরপর এদিন বিজেপির ৩ সদস্য ও বিজেপিরকে সমর্থন দেওয়া নির্দল প্রার্থীও তৃণমূলে যোগদান করেন। দলবদলের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বনগাঁ জেলা তৃণমূলের সভাপতি গোপাল শেঠ(Gopal Seth)। এদিন তিনি জানান, ‘উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি বেশ কিছু পঞ্চায়েতে ক্ষমতা দখল করেছিল। কিন্তু পরে একে একে সব গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের জোয়ারে ভাসতেই সেই সব গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যরা তৃণমূলে যোগ দেন। ধরমপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েত বাকি ছিল। আজ সেটাও হয়ে গেল। উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় আর এমন কোনও পঞ্চায়েত বাকি রইল না যেখানে বিজেপি ক্ষমতায় আসছে। আগামিদিনেও ওরা আর কোনও পঞ্চায়েতে ক্ষমতা দখল করতে পারবে না।’