নিজস্ব প্রতিনিধি: ফের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল উত্তর চব্বিশ পরগনার আমডাঙা এলাকার কুমারদানি গ্রাম। ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। এই সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। তৃণমূল ও আইএসএফের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। আহতদের চিকিৎসার জন্য আমডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের বারাসত জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
তৃণমূলের অভিযোগ, এলাকার কয়েকজন ব্যক্তি আইএসএফ দল ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। অভিযোগ, জোড়াফুলে শিবিরে যোগদান করায় এই হামলা চালিয়েছে আইএসএফ। ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেওয়া নতুন কর্মীদের ওপর আইএসএফ আশ্রিত দুষ্কৃতিরা বোমাবাজি করছে বলে তৃণমূলের দাবি।
স্থানীয় সুত্রে খবর, এক শিশুকে মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গন্ডগোলের সুত্রপাত। যা অবশেষে রাজনৈতিক সংঘর্ষে মোড় নেয়। পাড়ার এক শিশুকে এক ব্যক্তি মারধর করছিলেন বলে অভিযোগ, তার প্রতিবাদ করায় ঝামেলা বেঁধে যায়। শুরু হয় বেপরোয়া বোমাবাজি। অস্ত্র হাতে প্রকাশ্যেই চলে দাপাদাপি। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন দু’পক্ষের লোকজন। এই সংঘর্ষে মোট ১০ জন আহত হয়েছেন। খবর যায় আমডাঙা থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে আমডাঙা থানার পুলিশ।
যদিও তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে আইএসএফ সমর্থক কর্মীরা। এক আইএসএফ সমর্থক বলেন, “শিশুটিকে মেরেছিল ওরা। তারই প্রতিবাদ করতে গিয়েছিলাম। উল্টে আমাদের ওপরেই হামলা চালাল।” যদিও তৃণমূল সমর্থকের দাবি, “আমরা নই, ওরাই হামলা চালিয়েছে। আমরা শুধু প্রতিরোধ করেছি।”