নিজস্ব প্রতিনিধি: তিনি কাজের মানুষ। তাই মানুষের কাছের তিনি। রাজনীতি যে জনসেবা তা আরও একবার প্রমাণ করেছেন এই ব্যক্তি। তিনি তৃণমূলের (TMC) উপপ্রধান। নিজের কাজেই দৃষ্টান্ত গড়েছেন সবুজ শিবির সমস্ত রাজনৈতিক মহলেই। হয়ে উঠেছেন আদর্শ।
আউশগ্রামের বেরেণ্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বিশ্বনাথ সিং। তাঁর দিন শুরু হয় ভোর ৩ টায়। পেশায় তিনি জনমজুর। আবার ভোরের আলো ফুটতেই বেরিয়ে পড়েন সবজি ফেরি করতে। আবার দক্ষতার সঙ্গে তিনিই সামলান পঞ্চায়েতের কাজ। আক্ষরিক অর্থেই এলাকার মানুষের কাছে তিনি হয়ে উঠেছেন জননেতা। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জিতে উপপ্রধান হয়েছেন তিনি। তবে ছাড়েননি নিজের কাজ। বরং বেড়েছে খাটনি। প্রশাসনিক কাজ সামলানোর পাশাপাশি পেট চালানোর জন্য তাঁকে করতে হয় মজুরির কাজ। তাতেও অভাব মেটে না। তাই সবজি ফেরি করেন ‘নেতা’। বেরেণ্ডা পঞ্চায়েতের মাজেরগ্রামের বাসিন্দা বিশ্বনাথের স্ত্রী মানবীও পেশায় দিনমজুর। তাঁদের ২ ছেলে। ছোট ছেলে নবম শ্রেণিতে পড়ে। আর বড় ছেলে বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন। তাই বেশি দূর আর পড়াশোনা করা হয়নি।
পঞ্চায়েত অফিস থেকে ঘরের দূরত্ব প্রায় ১৪ কিলোমিটার। নিয়মিত যাতায়াত করেন সাইকেলে। মাঝে মাঝে জোটে লোকের বাইক। কেউ এগিয়ে দেন তাতেই। নেতার বাড়ি যেন কুঠুরি। মাটির দেওয়াল চারধারে। ওপরে অ্যাডবেসটেসের ছাউনি। জননেতা (Leader) জানিয়েছেন, ঘুম থেকে উঠে সাইকেলে চলে আসেন গুসকরা শহরে। পাইকারি দোকান থেকে কেনেন সবজি। আর তারপরে তা ফেরি করেন শহর ও আশেপাশের গ্রামে। এখানেই শেষ নয়, অভাব মেটাতে কাজ পেলেই ছুটে যান মজুরির কাজে। সবজি ফেরি করার পরেই করেন এই কাজ। আর তারপর যান দফতর সামলাতে। শুধু তৃণমূল নয় সমস্ত রাজনৈতিক দলের কাছে তিনি দৃষ্টান্ত। তিনি কাজের ও কাছের মানুষ। জননেতা তো তাঁকেই বলে যে মানুষের কাছের। সুশাসক হওয়া মুখের কথা নয়।