নিজস্ব প্রতিনিধি: বিজেপি মনোনীত রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে ভোট দেওয়ার জন্য চাপ দিয়ে তৃণমূল বিধায়ককে হুমকি ফোন। যা ঘিরে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক বিতর্ক। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার নাম করে রাষ্ট্রপতি ভোটে এনডিএ (NDA) পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে ভোট দেওয়ার জন্য পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল (TMC) বিধায়ককে হুমকি ফোন করা হয় বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় সঞ্জয় সিং নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে আদালতে পেশ করেছে পুলিশ।
পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল (TMC) বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর অভিযোগ, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নাম করে দ্রৌপদী মুর্মুকে ভোট দেওয়ার ব্যাপারে কথা বলতে চান বলে জানান অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি। এমনকি ভোট না দিলে দেখে নেওয়ারও হুমকি দেয় সে। তৃণমূল বিধায়কের আরও অভিযোগ, তাঁকে ১ কোটি টাকা ও পেট্রোল পাম্প দেওয়ার প্রলোভন দেওয়া হয়। প্রলোভনের পাশাপাশি তাঁকে রগড়ে দেওয়ারও হুমকি দেয় অভিযুক্ত। নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তি ফোনে ভোট না দিলে ইডি ও সিবিআই দিয়ে ‘রগড়ে’ দেওয়া হবে বলে ফোনে হুমকি দেয়। এরপর গোটা ঘটনা জানিয়ে পাণ্ডবেশ্বর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার রাতেই দুর্গাপুরের ইস্পাত নগরীর বি-জোন এলাকা থেকে সঞ্জয় সিং নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃত ব্যক্তি পেশায় সাংবাদিক বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে বিধায়ক নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী রবিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘দফায় দফায় হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) কল করে আমাকে এইভাবে হুমকি দেওয়া হয়েছে। বিরোধী দলনেতার নাম করে হুমকি দেওয়া হয়েছে। আমি ভীত ও আতঙ্কিত। দলের নির্দেশে বাধ্য হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হই।’ এই ঘটনা নিয়ে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের ডিসি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা জানান, ‘বিধায়কের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার হয়েছেন অভিযুক্ত। তাকে হেফাজতে নিয়ে ফোনের কল লিস্ট খতিয়ে দেখে তদন্ত করা হবে।’ রবিবার ধৃতকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক অভিযুক্তকে দু’দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।