নিজস্ব প্রতিনিধি: তিনি দীর্ঘদিনের তৃণমূল সাংসদ। দলের হাত ধরে হয়েছিলেন কেন্দ্রের মন্ত্রীও। খাতায়কলমে তিনি এখনও সেই তৃণমূলেরই সাংসদ। অথচ তৃণমূল সুপ্রিমোকে নিয়ে তিনি প্রকাশ্যেই কুরুচিকর মন্তব্য করতে বিন্দুমাত্র পিছুপা হচ্ছেন না। এবার তাঁর করা সেই কুরুচিকর মন্তব্যকেই পাল্টা আক্রমণ করার পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের(ECI) দৃষ্টি আকর্ষণ করল বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস(TMC)। নজরে কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী(Sishir Adhikari)। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) চোট নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে এখন চতুর্দিক থেকেই তীব্র সমালোচনা ও নিন্দার ঝড়ের সন্মুখীন হয়েছেন তিনি। তাঁর সেই কুরুচিকর এবং বিতর্কিত মন্তব্য থেকে দূরত্ব বজায় রাখছে পদ্মশিবির অর্থাৎ বিজেপিও। কেননা যে কথা শিশির বলেছেন তা কার্যত প্রাণে মারার হুমকি। সূত্রের খবর, শিশিরের মন্তব্য নিয়ে তৃণমূলের তরফে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলাও হচ্ছে। প্রয়োজনে শিশিরের বিরুদ্ধে FIR বা আদালতে মামলা দায়ের করার কথাও ভাবছে তৃণমূল।
শিশিরের ছোট ছেলে সৌমেন্দু অধিকারীকে বিজেপি ২৪’র ভোটে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি থেকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। কার্যত শিশিরের আসনেই প্রার্থী করা হয়েছে সৌমেন্দুকে। সেই সৌমেন্দুর হয়ে প্রচারে গতকাল রামনগরে বিজেপির একটি সভায় যোগ দেন শিশির। সেখানেই তিনি বলেন, ‘ভোট এলেই অঙ্গে আঘাত হয়। বিধানসভা ভোটের আগে বললেন নন্দীগ্রামের বিরুলিয়াতে পায়ে মেরে দিল শুভেন্দু। শুভেন্দু মারলে বাঁচতো না। শুভেন্দু মারলে বাঁচবে না কেউ। সেটা আমরা চোখে দেখেছি নন্দীগ্রামে।’ শিশিরের এই মন্তব্য এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পাশাপাশি তীব্র নিন্দার ঝড় তুলেছে। বর্ষীয়ান সাংসদের এহেন মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতায় সরব হয়েছে তৃণমূল। নির্বাচন কমিশনকে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানানো হয়েছে ঘাসফুল শিবিরের তরফে।
তৃণমূলের পক্ষ থেকেই শিশিরের মন্তব্যের পাল্টা পোস্ট এদিন করা হয়েছে ট্যুইটারে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘সাংসদ শিশির অধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপহাস করে তাঁর ছেলের পথ অনুসরণ করেছেন। অদ্ভুত গর্বের সঙ্গে তিনি পরামর্শ দিলেন যে যদি তার ছেলে শুভেন্দু অধিকারী এবং তার সহযোগীরা তাঁকে আক্রমণ করত, তাহলে সে বাঁচতে পারত না। অহংকার ও নিষ্ঠুরতার এই ঘৃণ্য প্রদর্শন অধিকারী প্রাইভেট লিমিটেডের প্রতিফলন ঘটায়। বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত। এই ধরনের ভয় দেখানোর কাজগুলি নির্বাচন কমিশনের নজরে পড়া উচিত৷ এই ধরনের আচরণের নিন্দা করার জন্য তাঁদের দ্রুত এবং সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ নেওয়া অপরিহার্য।’