নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের শাসনক্ষমতা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসকে (TMC) সরাতে নন্দীগ্রামে গণহত্যায় (Nandigram massacre) অভিযুক্তদের সঙ্গেও হাত মেলানোর কথা ঘোষণা করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary)। সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেস মিলেমিশে মহাজোটের ডাক দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘এ রাজ্যের মানুষের সামনে এখন প্রধান লক্ষ্য, তৃণমূলকে ক্ষমতা থেকে সরানো। বিজেপি, সিপিআইএম, কংগ্রেস নাকি অন্য কোনও শক্তি, কে ক্ষমতায় আসবে সেটা প্রধান বিষয় নয়, তা মানুষ ঠিক করবে। কিন্তু বাংলার মানুষ মহাজোট করে তৃণমূলকে উৎখাত করতে প্রস্তুত।’ কিন্তু রাজ্যে পালাবদলের আগে সিপিএমের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসা তৎকালীন তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারী হঠাৎ জোট চাইছেন সিপিএমের সঙ্গে, বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা। নন্দীগ্রামে গণহত্যায় অভিযুক্ত দলের সঙ্গে জোট করে বাংলাকে কী বার্তা দিতে চাইছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী? সেই প্রশ্নও উঠছে নানা মহল থেকে।
প্রসঙ্গত ২০০৭ সালে বাংলার মসনদে তখন সিপিআইএম সরকার। নন্দীগ্রামে জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে উত্তাল আন্দোলনে যোগ দিয়ে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন বহু গ্রামবাসী। পুলিশ ও সিপিআইএমের হার্মাদ বাহিনীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি। আন্দোলনে সামিল হন তৎকালীন রাজ্যের বিরোধী দল তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বোচ্চ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।উল্লেখ্য এর আগে বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলকে হারাতে বাম- কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপির জোটের পক্ষে মত দিয়েছিলেন৷ দলের সাংসদের পর এবার বিরোধী দলনেতাও সেই একই সুরে কথা বললেন। যদিও মানুষ এই পরিকল্পনায় সাড়া দেবেন না বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।