নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে দিল্লির দরবারে বড় কর্মসূচি তৃণমূলের। ২ ও ৩ অক্টোবর গান্ধী জয়ন্তীতে রাজঘাটে শ্রদ্ধা জানিয়ে কর্মসূচি শুরু করবে তৃণমূল। তাই এক সপ্তাহ আগেই প্রস্তুতি শুরু করল বাংলার শাসকদল। রাজ্যের নানাপ্রান্ত থেকে ৫০ লক্ষ চিঠি সংগ্রহের কাজ শুরু করা হয়েছে। ১০০ দিনের কাজের বকেয়া অর্থ মেটানোর দাবিতে এই চিঠি দেওয়া হবে প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিং-এর অফিসে।
আগামী ২ অক্টোবর গান্ধী জয়ন্তীতে রাজঘাটে শ্রদ্ধা জানিয়ে কর্মসূচি শুরু করা হবে। ২১ জুলাই-এর মঞ্চ থেকে কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে ‘দিল্লি চলো’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের সমস্ত জেলা থেকে নেতা কর্মীদের দিল্লিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি গ্রহণ করার কথা বলা হয়। তবে শেষঅবধি কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার কথা বলা হয় তৃণমূলের সাংসদ, বিধায়ক, জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিদের। ফলে ১ অক্টোবরই তাঁদের পৌঁছে যেতে হবে দিল্লিতে। দীর্ঘ টানাপড়েনের পর দিল্লির যন্তর মন্তরে ধর্নার অনুমতি দেয় দিল্লি পুলিশ। ৩ তারিখ যন্তরমন্তরে ধরনা অবস্থান রয়েছে তৃণমূলের। সেখান থেকে পদযাত্রা করে কৃষিভবন যাবেন নেতারা।
তবে রামলীলা ময়দানে বিক্ষোভ কর্মসূচির অনুমতি মেলেনি। বকেয়া অর্থের দাবিতে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রীর অফিসে যাওয়ার কথা তৃণমূল নেতৃত্বের। হাতে থাকবে এই ৫০ লক্ষ চিঠি। এই চিঠি সংগ্রহের কাজ শুরু হল। যারা দিল্লির ধর্না কর্মসূচিতে থাকতে পারবেননা তাঁরা কলকাতার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসতে চলেছে বলেই সূত্রের খবর। দিল্লির কর্মসূচির লাইভ সম্প্রচার প্রত্যেক পঞ্চায়েত অফিসের সামনে জায়ান্ট স্ক্রিনের মাধ্যমে দেখানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা সভাপতিদের। এই আবহেই দিল্লি যাত্রার আগে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ভার্চুয়াল সমাবেশ করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।