নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কঙ্কালসার অবস্থা সেতুর। অথচ সেতু মারফতই নিত্যনৈমিত্ত যাতায়াত করতে হয়। বেহাল সেতুর দশায় যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই চলছে যাতায়াত। তবে আর নয় এবার সোজা হেঁটে নবান্ন যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন গ্রামবাসীরা। সঙ্গে থাকবেন জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের অরবিন্দ গ্রাম পঞ্চায়েতের স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য সঞ্জিত কর্মকার।
জলপাইগুড়ির অরবিন্দ গ্রাম পঞ্চায়েত ও পাতকাটার মধ্যবর্তী করলা নদীর ওপর রয়েছে সেতুটি। এটির দুপাশের রেলিং-এর অবস্থা ভয়াবহ। এই সেতু দিয়ে প্রচুর মানুষ যাতায়াত করেন, যানবাহন চলাচল করে। স্থানীয় হাট বসলে ভিড় আরও বাড়ে। যেকোন সময় প্রাণহানি ঘটতে পারে। প্রায় ৩ ফুট বসে গিয়েছে সেতু। ফলে আত্মরক্ষার্থে ঘুরপথে যাতায়াত করছে মানুষ। বহুবার আবেদন করা হয়েছে। মেলেনি সাড়া। এখন অবিলম্বে সংস্কারের দাবি স্থানীয়দের। তাই এবার হেঁটে নবান্নে যাওয়ার সিদ্ধান্ত।
তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য সঞ্জিত বলছেন, ‘‘প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে দরবার করব। জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে এক বছর আগে টেন্ডারের মাধ্যমে সেতু তৈরির কাজ শুরু হলেও দেখা যায় ইঞ্জিনিয়াররা ভুল জায়গায় কাজ শুরু করছেন। তখন কাজটি বন্ধ হয়ে যায়। তার পর থেকে আর কাজের কোনও নামগন্ধ নেই। তবে এবার কাজ না হলে বৃহত্তর স্বার্থে স্থানীয়দের নিয়ে পায়ে হেঁটে নবান্ন রওনা হব।’’