নিজস্ব প্রতিনিধি: শনিবার সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়েছে রাজ্যের চার পুরনিগমে ভোট গ্রহণের পালা। চলবে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। কোভিডে আক্রান্ত ভোটাররা অবশ্য বিকাল ৫টা থেকে ভোট দিতে পারবেন। সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে তাঁদের বুথের লাইনে দাঁড়াতে হবে। এদিন সকাল থেকেই কার্যত রাজ্যজুড়ে ছিল হালকা ঠাণ্ডার আমেজ। তার মধ্যেই বিধাননগর, চন্দননগর, আসানসোল ও শিলিগুড়িতে শুরু হয় ভোট গ্রহণের পালা। সকাল ৯টা পর্যন্ত এই চার পুরনিগমে গড়ে ১২ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। চারটি পুরনিগমের মধ্যে চন্দননগর বাদ দিয়ে বাকি ৩টি পুরনিগম থেকেই বিক্ষিপ্ত অভিযোগ মিললেও, বড় ধরনের কোনও অশান্তির খবর মেলেনি। চার পুরনিগমেই অবশ্য ঠাণ্ডার জন্য সকালের দিকে ভোটের গতি কিছুটা কম থাকলেও বেলা বাড়তেই বুথে বুথে লম্বা লাইন পড়ে গিয়েছে।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের হিসেব অনুযায়ী, ভোটদানের হারের নিরিখে সবচেয়ে এগিয়ে বিধাননগর। প্রথম দু-ঘণ্টায় বিধাননগরে ১৪ শতাংশ ভোট পড়েছে। শিলিগুড়ি ও আসানসোলে ভোটদানের হার ১৩ শতাংশ। চন্দননগরে ১১ শতাংশ ভোট পড়েছে। চার পুরনিগমে মোট ওয়ার্ড সংখ্যা ২১৭টি। যদিও চন্দননগরে এক বিজেপি প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় এদিন মোট ২১৬টি ভোট গ্রহণের পালা চলছে। এই ২১৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ওয়ার্ড রয়েছে আসানসোলে। সেখানে ওয়ার্ড সংখ্যা ১০৬টি। শিলিগুড়িতে ওয়ার্ড সংখ্যা ৪৭, বিধাননগরে ৪১ এবং চন্দননগরে ৩৩টি। যদিও এদিন চন্দননগরে ৩২টি ওয়ার্ডে ভোট হচ্ছে। চার পুরনিগমে এদিন কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে ভোট চললেও বিধাননগর থেকে একাধিক বুথে বহু জাল ভোটারের ভোটদানের অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা। যদিও কমিশনের তরফে এনিয়ে এখনও পর্যন্ত এই খবরের সত্যতা স্বীকার করা হয়নি। মুখ খোলেনি পুলিশও। তৃণমূলের দাবি, কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে বিধাননগর সহ চার পুরনিগমেই মানুষ শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট দিচ্ছেন।