নিজস্ব প্রতিনিধি: রাতের খাওয়া সারবেন বলে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন উত্তরবঙ্গের(North Bengal) জলপাইগুড়ি(Jalpaiguri) থানা এলাকার মণ্ডলঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের দাসপাড়ার বাসিন্দা একটি পরিবার। সেই সময়েই তাঁরা দেখতে পান একটি বড়সড় মাপের সাপ ঘরের বেড়ার ফুটো দিয়ে মুখ বের করে জিভ নাড়ছে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা খবর দেন পরিবেশপ্রেমী সংস্থা ওয়াইল্ড লাইফকে। সেই খবর পেয়ে সেখানে যান সংস্থার সম্পাদক দেবার্ঘ রক্ষিত। এরপর টর্চ লাইট জ্বালিয়ে আলো ফেলতেই চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় তাঁর। কেননা সাপটি সিন্ধু কালাচ বা WALLS KRAIT। এশিয়ার সব থেকে বিষধর সাপগুলির(Most Venomous Snake in Asia) মধ্যে অন্যতম। এরপর যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করে বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় অক্ষত অবস্থায় সাপটিকে উদ্ধার করেন তাঁরা। যদিও প্রশ্ন উঠেছে এই সাপ এল কোথা থেকে?
সিন্ধু কালাচকে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আমজনতা নির্বিষ দাঁড়াশ সাপ ভেবে ভুল করে থাকে। কিন্তু এর বিষ খুবই তীব্র। এই সাপ কাউকে ছোবল দিলে তার দাগ কিছুক্ষণের মধ্যেই মিলিয়ে যায়। যার ফলে এই সাপে কাটা রোগীকে চিকিৎসা দিতে সমস্যায় পড়ে যান চিকিৎসকরা। কার্যত বহু ক্ষেত্রে এই জন্যই এই সাপে কাটা রোগীরা বিনা চিকিৎসায় মারা যান। কেননা যাকে এই সাপ কামড়ায় তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা সাপের ছোবলের দাগ দেখতে পান না বলে হাসপাতালে যাওয়ার কথাও ভাবেন না। আর তারপরেই একে একে অবশ হতে শুরু করে শরীরের একের পর এক অঙ্গ। প্রথমেই বিকল হয় কিডনি, তারপর ফুসফুস। চোখ ঝাপসা হয়ে যায়, সঙ্গে শুরু হয়ে তীব্র শ্বাসকষ্ট। মুখ দিয়ে লালা ঝরতে শুরু করে। একসময় হৃৎপিণ্ডও থেমে যায়। গোটা ঘটনাটি ঘটে ছোবলের ৬ ঘন্টার মধ্যে। রোগীকে বাঁচাতে গেলে এই সময়ের মধ্যেই চিকিৎসা শুরু করানো দরকার। কিন্তু বহু ক্ষেত্রেই তা সম্ভব হয় না।