নিজস্ব প্রতিনিধি: উদ্বেগ কাটিয়ে ক্রমশই স্বস্তি ফিরছে। গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে করোনার সংক্রমণ আগের দিনের তুলনায় অনেকটাই নিম্নমুখী। দৈনিক সংক্রমণ চার হাজারের নিচে নেমে এসেছে। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৬০৮ জন। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বরের পরে এটাই সর্বনিম্ন দৈনিক সংক্রমণ। তবে দৈনিক মৃত্যু আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। একদিনে প্রাণ হারিয়েছেন ৩৬ জন। শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৪৬ শতাংশে। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৯ লাখের বেশি মানুষ।
গত বছরের শেষের দিকে রাজ্যে করোনার সংক্রমণ আচমকাই ভয়াবহ হয়ে ওঠে। মারণ ভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণে লাগাম টানতে বিধি-নিষেধ জারির পথে হাঁটতে বাধ্য হয় রাজ্য সরকার। সেই বিধি-নিষেধের সুফল মিলতে শুরু করেছে। গত কয়েকদিনে প্রাণঘাতী ভাইরাসের সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
বৃহস্পতিবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত করোনা বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ‘গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৪০ হাজার ১৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নয়া নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার অর্থাৎ পজিটিভিটি রেট দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ০২ শতাংশে। নতুন করে ৩ হাজার ৬০৮ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের নমুনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হলেন ১৯ লাখ ৮২ হাজার ৮৬২ জন। করোনার মৃত্যুমিছিলে লুটিয়ে পড়েছেন আরও ৩৪ জন। এ নিয়ে রাজ্যে করোনার বলি হলেন ২০ হাজার ৪৮১ জন।’
রাজ্যে করোনার দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যুর নিরিখে শীর্ষে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। সীমান্ত লাগোয়া জেলাটিতে একদিনে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৫২৪ জন আর মারা গিয়েছেন ১৪ জন। সংক্রমণের নিরিখে উত্তর ২৪ পরগনার পরেই রয়েছে কলকাতা। কল্লোলিনী তিলোত্তমায় গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৪২৩ জন ও মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৪১১ জন।
দৈনিক সংক্রমণের পাশাপাশি সুস্থতার হারও আশার আলো দেখাচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ‘গত ২৪ ঘন্টায় করোনাকে হারিয়ে রাজ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৫ হাজার ২১৬ জন। ফলে করোনা জয়ীর সংখ্যা ১৯ লাখের গণ্ডি ছাড়িয়েছে। এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৯ লাখ ৬ হাজার ৬৫৬ জন। সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৬ দশমিক ১৬ শতাংশ। একদিনে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা কমেছে ১১ হাজার ৬৪৪টি। যার ফলে সক্রিয় করোনা রোগীর সংক্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৫৫ হাজার ৭২৫ জনে।’