নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে ২০২১ সালে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে জয় আসেনি তৃণমূলের। কিন্তু তাতে কি, সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই নন্দীগ্রামও। নন্দীগ্রামের মহিলারা উপকৃত হচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাধের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় (East Medinipur) দু-দফায় ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ (Lakkhi Bhandar) প্রকল্পের টাকা দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, নন্দীগ্রামের দুটি ব্লকে মোট ৭৪, ৩১৭ জন আবেদনকারীর মধ্যে ৭২ হাজারই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। নন্দীগ্রাম-১ নং ব্লকে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ (Lakkhi Bhandar) প্রকল্পে প্রথম পর্যায়ে আবেদন করেছিলেন ৩৯ হাজার ৫৫ জন মহিলা। দ্বিতীয় দফায় ৬ হাজার ৩১৬ জন মহিলা এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে আবেদন করেছিলেন। এই বিশাল সংখ্যক আবেদনকারীর মধ্যে প্রায় ১৩০০ জন আবেদনকারীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সমস্যার কারণে টাকা ঢোকেনি। যদিও এ নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কারণ নেই বলে জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। যারা টাকা পাচ্ছেন না তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সমস্যার কারণে টাকা ঢুকছে না বলে জানানো হয়েছে। তাই এর পিছনে অন্য কোনও কারণ নেই বলে জানান প্রশাসনিক আধিকারিকরা। অন্যদিকে, নন্দীগ্রাম-২ নং ব্লকে এই প্রকল্পে প্রথম দফায় ২৭,০৯৩ এবং দ্বিতীয় দফায় ১,৮৫৩ জন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে আবেদন করেছিলেন।
নারীর আর্থিক সহযোগিতার লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুচনা করেছেন। এই প্রকল্পের আওতায় বাংলার বধূদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মাসে মাসে টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে নবান্নের তরফে। পুর্ব মেদিনীপুর জেলায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের সুবিধা পেতে প্রথম দফায় ১০ লাখ ২৮ হাজার ৫১৩ জন মহিলা এবং দ্বিতীয় দফায় ১০ লাখ ৩৪ হাজার ৮৮ জন মহিলা আবেদন করেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে টাকা দিতে পারছে না বলে বিজেপি যে অভিযোগ তুলেছে তা খারিজ করে দেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। এই প্রকল্পে যাঁরা এখনও আবেদন করেননি, খুব শীঘ্রই আবার তাদের জন্য আবেদন গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হবে বলেও জানানো হয়েছে।