নিজস্ব প্রতিনিধি: হোস্টেলে বা বাড়িতে মদের বোতল নিয়ে ঢোকা যাবে না। বাইরে থেকে মদ খেয়েও ঢোকা যাবে না। আবার নিত্যদিন মদের নেশা করার মতো পয়সাও নেই। তাহলে উপায়? সেটাই এখন কাঁপাচ্ছে দুর্গাপুর(Durgapur) শহরকে। রাজ্যের এই ইস্পাতনগরীতে হু হু করে বেড়েছে গিয়েছে ফ্লেভার্ড কন্ডোমের(Flavored Condom) বিক্রি। সিটি সেন্টার, বিধাননগর, চন্ডিদাস, বেনাচিতি, মুচিপাড়া, সি জোন, এ জোন সর্বত্রই বেড়ে গিয়েছে ফ্লেভার্ড কন্ডোমের বিক্রি। আর হুট করে কেন এই বিক্রি বেড়ে গিয়েছে তা খোঁজ নিতে গিয়ে চোখ কপালে উঠেছে স্থানীয় প্রশাসনের। তাঁরা জানতে পেরেছেন, এই কন্ডোম বিক্রির নেপথ্যে কোনও সেক্সের পাশাপাশি রয়েছে নেশার বিষয়ও। কার্যত কন্ডোমের নেশায় বুঁদ হয়ে গিয়েছে দুর্গাপুরের তরুণ প্রজন্মের(Young Generation) একটা বড় অংশ।
কিন্তু কন্ডোম দিয়ে কীভাবে নেশা হওয়া সম্ভব? জানা গিয়েছে, সেক্সের সময় নারী দেহের জরায়ু মুখে পুরুষাঙ্গের অবাধ যাতায়াতের জন্য কণ্ডোমে একটি মলম লাগানো থাকে যা সেক্সের সময় তৈলাক্ত করে তোলে জরায়ু মুখকে। এই মলম আদতে অ্যারোমেটিক কমপাউন্ড। সেই সঙ্গে ফ্লেভার্ড কন্ডোমে থাকে ফ্লেভার অনুযায়ী সুগন্ধি। এই দুইয়ের সংমিশ্রণে সেক্সের মুহুর্তে উত্তেজনা বেড়েও যায়। কিন্তু ঘটনা হচ্ছে গরম জলে এই ধরনের কন্ডোম ভিজিয়ে রাখলে কন্ডোমের গায়ে থাকা অ্যারোমেটিক কমপাউন্ড ভেঙে গিয়ে তা থেকে অ্যালকোহল(Alcohol) বেরিয়ে আসে। আর এই অ্যালকোহল মিশে যায় ওই জলের মধ্যে। পরেরদিন সকালে সেই জল খেলে মোটামুটি ১০-১২ ঘন্টা বেশ ভালই নেশা হয়। আর এই নেশাতেই এখন বুঁদ হয়েছে দুর্গাপুর শহরের তরুণ প্রজন্ম। এদের কেউ কলেজে পড়ে তো কেউ আবার সদ্য কলেজ থেকে পাশ করে চাকরির সন্ধান করছে।