নিজস্ব প্রতিনিধি: মেয়ে নাবালিকা। তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল এক যুবকের। এই সম্পর্ক মেনে নেয়নি নাবালিকার পরিবার। এসবে পাত্তা না দিয়েই রাতভর ফোনে কথা বলত নাবালিকা। আর এই কারণেই বকাবকি করেছিলেন কিশোরীর মা। ফোনে রাত জেগে কথা বলতে বারণ করার শোধ নাবালিকার প্রেমিক নিল প্রেমিকার বাবার ওপরে! ঘটনায় এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে চাঞ্চল্য। মৃতের পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
কোচবিহারের মাথাভাঙা এলাকার ২ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। রবিবার রাতে এই ঘটনা ঘটেছে ওই ওয়ার্ডের বাধের পাড় সংলগ্ন এলাকায়। নাবালিকার প্রেমিক ও প্রেমিকের বন্ধুর আক্রমণে গুরুতর আহত হন কিশোরীর বাবা। তাঁকে দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। চিকিৎসকরা দেহ পরীক্ষা করে জানান মৃত্যু হয়েছে কিশোরীর বাবার। মৃতের নাম শিবু চন্দ। মূল অভিযুক্ত বিশাল মণ্ডল।
জানা গিয়েছে, গত রবিবার কিশোরীকে রাতে কথা বলতে বাধা দেন তাঁর মা। শুরু হয় মা- মেয়ের বচসা। বকাবকি করেন নাবালিকার মা। আর এরপরেই নাবালিকার প্রেমিকা বিশাল তার এক বন্ধুকে নিয়ে চড়াও হয় নাবালিকার বাড়িতে। ফোনে কথা বলতে বাধা দেওয়া কেন, এই প্রশ্ন তুলে মারধর করে প্রেমিকার বাবাকে। দুই যুবকের বেদম প্রহারে গুরুতর জখম হন নাবালিকার বাবা। এরপর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় মাথাভাঙা হাসপাতালে (Hospital)। সেখানেই মৃত্যু (Death) হয় শিবুর। খবর দেওয়া হয় স্থানীয় থানায়। ঘটনাস্থলে আসে মাথাভাঙা থানার পুলিশ।
পুলিশ (Police) সূত্রে জানা গিয়েছে, দেহ উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। মৃতের স্ত্রীর অভিযোগ, রাতে মেয়ে আর ওই ছেলে ফোনে কথা বলত। তাই বকাবকি করা হয়েছিল মেয়েকে। ছেলেকেও শোনানো হয়েছিল কথা। বলা হয়েছিল, রাত্রে এভাবে ফোনে (Mobile) কথা বলতে না। আর তাই বন্ধু নিয়ে এসে বিশাল খুন কর তাঁর স্বামীকে।