নিজস্ব প্রতিনিধি: রাস্তা দিয়ে সাইকেল চালিয়ে একা পড়তে যাচ্ছিল এক আদিবাসী ছাত্রী। সেই সময় তার পথ আটকে জঙ্গলে তুলে নিয়ে গেল চার দুস্কৃতী। অভিযোগ, জঙ্গলে জোর করে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয় ওই ছাত্রীকে। এমনকি তাকে বলপূর্বক মাদক খাওয়ানোর চেষ্টা করে ওই চার দুষ্কৃতী। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার তালডাংরা থানার আমডাংরার জঙ্গলে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ার তালডাংরা থানা এলাকার শিমুলডাঙ্গা গ্রামের একাদশ শ্রেনীর ওই ছাত্রী রবিবার সকালে স্থানীয় সাবড়াকোন এলাকায় কম্পিউটার কোর্সের ক্লাস করতে যাচ্ছিল। অন্যান্য দিনের মতো সাইকেলে চেপে সে যাচ্ছিল। অভিযোগ, আমডাংরার জঙ্গলের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় আচমকাই চার যুবক ওই ছাত্রীর পথ আটকে দাঁড়ায়। এর পর তাকে সাইকেল থেকে টেনে ফেলে দেওয়া হয়। তারপর ওই ছাত্রীকে লাঠি দিয়ে ব্যাপক মারধর করা হয়। ছাত্রীর পরিবারের দাবি, এর পর তার হাত পা বেঁধে জঙ্গলের ভেতরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে চার দুস্কৃতী। জোর করে ওই ছাত্রীকে মাদক খাওয়ানোর চেষ্টা হয়। এর মাঝে দুই স্থানীয় ব্যক্তি ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। তাদের দেখে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায় বলে ওই ছাত্রীর পরিবার জানিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ওই ছাত্রী কোনও রকমে প্রাণ বাঁচিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। আহত ওই ছাত্রীকে তার পরিবারের লোকজন স্থানীয় আমডাংরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে চিকিৎসার জন্য তাকে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। নির্যাতিতা ওই ছাত্রীর মাথার ডান দিকে ও বাম দিকের পায়ে আঘাত রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। অন্যদিকে এই ঘটনার কথা জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে তালডাংরা থানায়। অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ছাত্রীর ওপর এই হামলার পেছনে কী কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। ওই ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে অভিযুক্তদের পারিবারিক কোনও বিবাদ ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।