নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: শ্রীলঙ্কার পথেই কী এগোচ্ছে বাংলাদেশ? বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্বপ্নের সোনার বাংলা কী সত্যিই দেউলিয়া হতে চলেছে? প্রশ্নটি উঠেছে তার কারণ, গতকাল রবিবার দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার কমে দাঁড়িয়েছে ৩২ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলারে। অথচ গত বছরের ৪ জানুয়ারি দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার ছিল ৩৩ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলার। তার আগের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের জানুয়ারিতে বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার ছিল ৪৪ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলার। দুই বছরের ব্যবধানে ১২ দশমিক ৪৩ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ কমেছে। ২০২১ সালের অগস্ট মাসে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে গিয়েছিল।
বিদেশি মুদ্রার এমন হাল যে অধিকাংশ বিদেশি রফতানিকারকদের পাওনা অর্থ সময়মতো পরিশোধ করা যাচ্ছে না। আগে পণ্য পাঠানোর ১৫ দিনের মধ্যেই পেমেন্ট পেয়ে যেতেন তাঁরা। বর্তমানে দুই থেকে তিন মাস অপেক্ষা করতে হচ্ছে। ফলে অনেকেই বাংলাদেশে পণ্য পাঠাতে বেঁকে বসেছেন। ইসলামি ব্যাঙ্ক সহ বেশ কিছু ব্যাঙ্কে টাকা নেই। যে কোনও দিন ওই সব ব্যাঙ্কের দরজা বন্ধ হতে পারে বলে মনে করছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা। দেশের অর্থনীতির হাল শোচনীয় জানতে পেরে বিদেশে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশিরাও রেমিট্যান্স পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন।
যদিও ব্যাঙ্কে টাকা না থাকার কথা মানতে নারাজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর দাবি, ব্যাঙ্কে পর্যাপ্ত অর্থ ভাণ্ডার রয়েছে। এক শ্রেণির দেশ বিরোধী শক্তি ব্যাঙ্কে টাকা নেই বলে গুজব ছড়িয়ে অস্থিরতা তৈরি করছে। সরকারের শীর্ষ নেত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে সোমবার ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান হারুন অর রশিদ জানিয়েছেন, জামায়েত ইসলামি সহ বেশ কয়েকটি বিরোধী দলের পক্ষ থেকে ব্যাঙ্কিং ও আর্থিক ক্ষেত্র নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই পাঁচ গুজবকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।