এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

কলেজে শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা নেই, অথচ লেকচারার! দায়ের মামলা

নিজস্ব প্রতিনিধি: একা নন পার্থ(Partha Chattopadhay), আছেন আরও অনেকেই। শুধু নয় এসএসসি বা টেট, আছে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় স্তরেও দুর্নীতি। এই দাবিই কিন্তু এবার ক্রমশ জমাট বাঁধছে। কেননা রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের হচ্ছে কলকাতা হাইকোর্টে(Calcutta High Court)। এবার কলেজে কলেজে অতিথি অধ্যাপক বা গেস্ট লেকচারার(Guest Lecturer) পদে নিয়োগ নিয়েও উঠে এল দুর্নীতির অভিযোগ। আর সেই অভিযোগকে ঘিরেই মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। আগামিকাল অর্থাৎ শুক্রবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে। শুধু তাই নয়, এই মামলাতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও যুক্ত করার আবেদনও জানানো হয়েছে। যদিও আদালত এই নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তের কথা জানায়নি। সম্ভবত মামলার শুনানিতে আদালত এটা বুঝে নিতে চাইছে যে এই মামলার সঙ্গে আদৌ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কোনও যোগ আছে কিনা। সেটা বুঝেই পার্থকে এই মামলায় পার্টি করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে আদালত।

কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হওয়া এই মামলায় আবেদনকারীদের দাবি, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে রাজ্যের বেশ কিছু কলেজে গেস্ট লেকচারার নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল। তাতে বলা হয় ১২ থেকে ১৪ হাজার গেস্ট লেকচারার নিয়োগ করা হবে। অথচ এখন দেখা যাচ্ছে সেই সব পদে যারা নিয়োগ পেয়েছেন তাঁদের অনেকেরই ওই পদে নিয়োগের যোগ্যতাই নেই। আবেদনকারীদের সাফ অভিযোগ, কলেজে শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা নেই যাদের তাঁদের লেকচারার হিসেব নিয়োগ করা হল কীভাবে? নিয়গ ক্ষেত্রে বড়ধরনের দুর্নীতি না হলে বা বেনিয়ম না হলে এই ঘটনা ঘটবে না। ঘটনা হচ্ছে এই মামলা দায়ের করেছেন যে সব চাকরিপ্রার্থীরা তাঁরা এই মামলা দায়ের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছিলেন। তাঁদের দাবি ছিল, এই দুর্নীতি বা বেনিয়মের ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তদন্তের নির্দেশ দিন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর তরফে কোনও সাড়া না পাওয়ায় তাঁরা বাধ্য হয়েছেন আদালতের দ্বারস্থ হতে।

রাজ্যে কলেজ সার্ভিস কমিশনের তরফে এই গেস্ট লেকচারার পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। সেই ঘটনায় যোগ্য অথচ বঞ্চিত এমন চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, ‘কলেজ সার্ভিস কমিশনের(College Service Commission) মাধ্যমে যে দুর্নীতি হয়েছে, সেই দায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এড়াতে পারেন না। একইসঙ্গে কমিশনের চেয়ারম্যান দীপক কর, উচ্চশিক্ষা দপ্তর এবং কলেজ সার্ভিস কমিশনের বিভিন্ন আধিকারিক, ইন্টারভিউ বোর্ডের কিছু সদস্য এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। তাঁদের নামও আমাদের কাছে আছে। ২০২০ সালে প্যানেল প্রকাশের পরই একাধিকবার আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠের ফ্ল্যাট থেকে যে বিপুল পরিমাণ খামবন্দি টাকা উদ্ধার হয়েছে, তাতে উচ্চশিক্ষা দফতরের(Higher Education Department) নাম জ্বলজ্বল করছে। অর্থাৎ উচ্চশিক্ষা দফতর ও কলেজ সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে সংঘটিত দুর্নীতির টাকা, উদ্ধারকৃত অর্থের সঙ্গে রয়েছে এটা অনুমান করা খুবই সঙ্গত। তাই আমরা চাইছি পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও এই মামলার শরিক করা হোক।’  

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে চাষের জমি লুটের অভিযোগ শেখ শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে

রবিবার থেকে জেলায় জেলায় শুরু হবে বৃষ্টি, সোমবার ভিজতে পারে কলকাতা

‘উনি কেন এখনও ফর্ম ফিলাপ করেননি?’, নাম না করে শান্তনুকে CAA খোঁচা মমতার

শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে জমি হাতানোর অভিযোগ

‘এখন থেকে আমি আর মোদিবাবুর নাম নেব না, বড্ড মিথ্যে কথা বলেন’

বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে দেখা করেই মৃত্যু মাধ্যমিক উত্তীর্ণ  ছাত্রীর

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর