নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী ১১ অগাস্ট রাখি। আর তার মাত্র ২ দিন আগেই ফের ‘ক্ষমতার সুখ’ পেতে বঙ্গভঙ্গ চাইলেন বিজেপি (BJP) বিধায়ক। বাংলা ভাগের দাবিতে আবারও নতুন করে সুর চড়িয়েছেন কোচবিহারের তুফানগঞ্জের বিজেপি বিধায়ক মালতি রাভা রায়। বিজেপি বিরোধীদের কটাক্ষ, ‘গো বাহিনী কি আর বঙ্গ ঐতিহ্য বা ইতিহাস বোঝে! ওরা তো ব্রিটিশদের দালাল’।
ব্রিটিশদের ঘৃণ্য বঙ্গভঙ্গ আইনের প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অন্যভাবে প্রচলন করেছিলেন রাখি বন্ধন উৎসব। বিশ্বকবির ডাকে সেদিন হিন্দু-মুসলমানরা পরস্পরের হাতে রাখি বেঁধেছিলেন। রঙিন সুতো হয়ে উঠেছিল ঐক্য, মেলবন্ধনের প্রতীক। এই কর্মসূচি ছিল অখণ্ড বাংলার সংকল্প। সেই দিন অবশ্য রাখি পূর্ণিমা ছিল না। দিনটি ছিল ১৯০৫ সালের ১৬ অক্টোবর। একতার দাবিতে পা মিলিয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ। সেই থেকে রাখি উচ্চারণ করলেই উঠে আসে বঙ্গভঙ্গ রোধে বিপুল সংখ্যক মানুষের আবেগের কথা।
আগামী ১১ অগাস্ট রাখি। তার আগে ফের উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য ঘোষণা করার দাবি জানালেন গেরুয়া বিধায়ক। বিজেপি শিবির থেকে বাংলা ভাগের দাবি উঠেছে বারবার। তার বিরোধিতা জানিয়েছে বিজেপি ছাড়া অন্য সমস্ত রাজনৈতিক দল। মাঝে আবার গেরুয়া শিবির থেকে উঠেছিল জঙ্গলমহলকে আলাদা রাজ্য ঘোষণা করার দাবি। ওই পদ্মশিবির থেকেই দাবি উঠেছিল মুর্শিদাবাদকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার দাবি। উত্তরবঙ্গ আলাদা রাজ্য হোক, এই দাবির সঙ্গে বারবার সুর মিলেছে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ‘কেএলও’-র। তাদের দাবি, ‘কোচ কামতাপুর’ রাজ্য।
সম্প্রতি বঙ্গ সফরে এসে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা বঙ্গ বিজেপিকে বার্তা দিয়েছিলেন, বঙ্গভঙ্গের দাবি তুলতে না। বুঝেছিলেন, এই দাবিতে ক্ষোভ জমছে বাংলায়। তবু সে সব থোড়াই কেয়ার! ফের বঙ্গভঙ্গের দাবি তুললেন পদ্মফুলের বিধায়ক। সম্প্রতি আরএসএস মুখপত্রেও উঠে এসেছে বাংলা ভাগ নিয়ে গেরুয়া শিবিরের ব্লু প্রিন্ট। বিজেপি বিধায়কের দাবি, প্রশাসনিক কাজের জন্য জেলা ভাগ হলে উন্নয়ন ও প্রশাসনিক কাজের সুবিধার জন্য বাংলাকেও ভাগ করা হোক। আর তা নিয়েই ফের অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি শিবির।