নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচি: দীর্ঘ সম্পর্কের বদলে লিভ-ইন। একজনকে ব্যবহার কর। পরে ছুঁড়ে ফেলে দাও। ভারতে সনাতন সংস্কৃতির বদলে শুরু হয়েছে কনজিউমার কালচার। তরুণ সমাজ কোনও দায় বা দায়িত্ব পালন করতে চাইছে না।
একটি বিবাহ বিচ্ছেদ মামলার প্রেক্ষিতে কেরল হাইকোর্ট এই অভিমত প্রকাশ করেছে। বিবাহ বিচ্ছেদ মামলা দায়ের হয় বিচারপতি এ মহম্মদ মুস্তাক এবং বিচারপতি সোফি টমাসের এজলাসে। ডিভিশন বেঞ্চে দায়ের হওয়া মামলায় স্ত্রীর বিরুদ্ধে স্বামীর অভিযোগ গার্হস্থ হিংসার। প্রথমে এই মামলা দায়ের হয়েছিল পারিবারিক আদালতে। আবেদনকারীর সব যুক্তি খারিজ করে দেয় পারিবারিক আদালত। রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কেরল হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন স্বামী। ডিভোর্স মামলা খারিজ করে দিতে গিয়ে বেঞ্চ ভারতের সনাতন সংস্কৃতির পক্ষেই মত দিয়েছে।
বেঞ্চ বলেছে, ভারতে একটা আজব সংস্কৃতি শুরু হয়েছে। সেই সংস্কৃতি হল বিয়ে না করে একসঙ্গে থাকার। কারণ, সঙ্গীর সঙ্গে স্থায়ী সম্পর্ক মানেই তার যাবতীয় দায়িত্ব নেওয়া। আগের প্রজন্ম সেই দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করত না। বরং তারা তাঁর সঙ্গীর সব ধরনের দায়িত্ব নিত সাগ্রহে। এখনকার ছেলেদের কাছে ওয়াইফ শব্দের অর্থ ওরি ইনভাইটেড ফর এভার। অর্থাৎ, চিন্তা-উদ্বেগকে চিরকালের জন্য ডেকে আনা। আর আগে ওয়াইফ শব্দের অর্থ ছিল ওয়াইজ ইনভেস্টমেন্ট ফর এভার। এখনকার প্রজন্ম এই সনাতনী সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করে না। পণ্য ব্যবহার করতে করতে নষ্ট হয়ে গেলে যেমন ছুঁড়ে ফেলা হয়, এখন সেটাই হচ্ছে।