নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁকুড়া: করোনা সংক্রমণের মাঝে বাঁকুড়ায় ক্রমেই চিন্তা বাড়াচ্ছে ডায়রিয়া। পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড ছাড়িয়ে এবার ১০ নম্বর ওয়ার্ডেও প্রকোপ বাড়ছে। প্রায় প্রতিদিনই এলাকায় এলাকায় পৌঁছে যাচ্ছে পুরসভার মেডিক্যাল টিম। বেশ কয়েকজনকে ভর্তি করা হয়েছে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। তবে এলাকার মানুষের ক্ষোভ স্থানীয় বিধায়ক বা সাংসদ এখনও এলাকায় পা রাখেননি।
বিজয়া দশমীর পরদিন থেকেই বাঁকুড়া পুর এলাকায় ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দেয়। পাতলা পায়খানা, বমি-সহ ডায়রিয়ার অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পর পর ভর্তি হয়েছিলেন ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ময়রাবাঁধ-হাঁড়িপাড়া এলাকার বেশ কয়েকজন। তাঁদের মধ্যে ২ জন শিশুও ছিল। শুক্রবার থেকে ১০ নম্বর ওয়ার্ডের রামপুর-দুবেরবাঁধ এলাকায় ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। এই এলাকারও ১০-১৫ জন একইধরনের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এদিন সকালেই বাঁকুড়া পুরসভা থেকে একটি মেডিক্যাল টিম ১০ নম্বর ওয়ার্ডের রামপুর-দুবেরবাঁধ এলাকায় আসে। ডায়রিয়া আক্রান্তদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরিষেবা দিতে শুরু করে। বাঁকুড়ার প্রাক্তন বিধায়ক শম্পা দরিপাও এদিন এলাকা পরিদর্শনে যান এবং আক্রান্ত পরিবারগুলির সঙ্গে কথা বলেন। ডায়রিয়া ঠেকাতে জল ফুটিয়ে খাওয়া, পরিচ্ছন্ন থাকার পরামর্শ দেন তিনি। পুরসভার সিনিয়র স্বাস্থ্যকর্মী মিতা মুখার্জী বলেন, ‘এলাকায় ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ছে ১০-১১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তবে পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়নি। আসলে এই এলাকার বাসিন্দারা পুকুরের জলে স্নান করা থেকে বাসন ধোওয়া সহ সমস্ত কাজই করেন। ফলে পুকুরের জল থেকে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। কলের জলের নমুনাও পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়েছে।’ তবে এলাকার মানুষের ক্ষোভ, স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা ও সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার একবারের জন্যও তাঁদের খোঁজ নিতে আসেননি এই মর্মান্তিক পরিস্থিতিতে।