নিজস্ব প্রতিনিধি: ২০১৩ সালে আকস্মিক মৃত্যু হয়েছে জনপ্রিয় বলিউড অভিনেত্রী জিয়া খানের। তাঁর মৃত্যুর রহস্য আজও অধরা। তবে অভিনেত্রীর মৃত্যুর পেছনে যাঁর নাম প্রথমেই উঠে এসেছে, তিনি হলেন অভিনেত্রীর প্রেমিক অভিনেতা আদিত্য পাঞ্চালির ছেলে সূরজ পাঞ্চালি। জিয়ার মায়ের দাবি তাঁর মেয়েকে খুন করা হয়েছে। এখনও এই মামলা বোম্বে হাইকোর্টের বিচারাধীন। যদিও অভিনেত্রীর মৃত্যুর তদন্ত আজও অব্যাহত। সিবিআই অভিনেত্রীর মৃত্যুরহস্যের একটি ন্যায্য, নিরপেক্ষ এবং পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত চালাচ্ছে এখনও। কিন্তু অভিনেত্রীর মা রাবিয়া খান বারবার অভিনেত্রীর মৃত্যু একটি হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করছেন। সেই কারণেই বারবার এই মামলার চূড়ান্ত হতে বিলম্ব হচ্ছে। যদিও রাবিয়া খান নতুনভাবে এই মামলার তদন্ত করার আবেদন রেখেছিলেন বোম্বে হাইকোর্টের কাছে। যেখানে তাঁর আর্জি ছিল, আমেরিকার এফবিআই এবং ইউনাইটেডের গার্হস্থ্য গোয়েন্দা এবং সুরক্ষা পরিষেবা তাঁর মেয়ের মৃত্যুর তদন্ত করুক। কিন্তু অভিনেত্রীর মায়ের দায়ের করা এই আবেদন গত ১২ সেপ্টেম্বর খারিজ করে দিয়েছে বোম্বে হাইকোর্ট। রাজ্যগুলির বিশদ আদেশের একটি অনুলিপি মঙ্গলবার উপলব্ধ করা হয়েছিল৷
মামলাটি বর্তমানে সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই)-এর অধীনে। ২০১৩ সালের ৩ জুন অভিনেত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার জন্যে তাঁর প্রেমিক অভিনেতা সুরাজ পাঞ্চোলিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিনেত্রীর মা রাবিয়া খান দাবি করছেন যে, জিয়াকে খুন করা হয়েছিল। কিন্তু আদালত নানা তদন্তের ভিত্তিতে দাবি করেছে যে, জিয়ার মৃত্যু নিছকই আত্মহত্যা। আদালত বলছে, “আবেদনকারী অর্থাৎ জিয়া খানের মা বারবার জেদ করে এই মামলাটির বিচারকে পিছিয়ে দিচ্ছে, তাঁর দাবি, জিয়ার মৃত্যু একটি হত্যাকাণ্ড, কোনো আত্মহত্যা নয়।” এই ধরনের পদ্ধতি আইনের যথাযথ প্রক্রিয়াকে বাধা দিচ্ছে বলে দাবি আদালতের।
আদালতের বেঞ্চ বলছে, “প্রাথমিকভাবে সিবিআই সম্পূর্ণরূপে এই মৃত্যুকে নিরপেক্ষ, ন্যায্য এবং স্বচ্ছ বলে দাবি করছে”। তবে আদালত এখনও এই মৃত্যুর তদন্তে সামিল। প্রাথমিক দৃষ্টিতে, পুলিশ বা সিবিআই কোনও দোষ খুঁজে পায়নি। সেই হিসেবেই সিবিআই একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে, নির্যাতিতার মৃত্যু একটি আত্মহত্যার ঘটনা।বেঞ্চ আরও উল্লেখ করেছে যে, এটি আর আঞ্চলিক এখতিয়ারের বাইরে যেতে পারবে না এবং এফবিআইও মামলাটির তদন্তের নির্দেশ দিতে পারবে না।