আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিমান তখন মাঝ আকাশে। পাইলটকে এক যাত্রী জানালেন, বিমানে তাঁর লাগাজে রয়েছে বোমা। পাইলট আর কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি হয়নি। যোগাযোগ করে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে। এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল যোগাযোগ করে বায়ুসেনার সঙ্গে। উড়ানকে পাহারা দিতে বায়ুসেনা একটি যুদ্ধবিমান পাঠিয়ে দেয়। যুদ্ধবিমানের সাহায্যে উড়ান নিকটবর্তী বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বোমা হুমকি দেওয়া ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
একটি সর্বভারতীয় সংবামাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, বোমাতঙ্কের ঘটনাটি ঘটে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের বিমানে। বিমানটি রওনা দেয় সানফ্রান্সিস্কো থেকে। উড়ান যখন মাঝ আকাশে, সেই সময় এক যাত্রী জানায়, তার লাগেজে রয়েছে তাজা বোমা। তার ওই হুমকিতে ভয় পান বিমানের বাকি যাত্রীরা। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পাইলট এবং কো-পাইলট। তারা দ্রুত এটিসির সঙ্গে যোগাযোগ করে ঘটনার কথা জানালে এটিসি যোগাযোগ করে সেনাবাহিনীর সঙ্গে। যাত্রাবাহী বিমানটিকে পাহারা দিয়ে নিরাপদে অবতরণ করাতে সেনাবাহিনী একটি যুদ্ধবিমান পাঠিয়ে দেয়। যুদ্ধবিমানের সাহায্যে যাত্রীবাহী উড়ানটি বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরে আগে থেকে মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশবাহিনী। বিমানটি অবতরণের পর পুলিশ হুমকি দেওয়া ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। যাত্রীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ ও মাদক রাখার অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে। তবে ধৃতের নাম জানাতে অস্বীকার করেছে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স।
নিরাপদে অবতরণের পর যাত্রীরা সকলেই স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন। উল্লেখ করা যেতে পারে, মাঝ আকাশে এর আগেও এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। তবে যুদ্ধবিমান পাহারা দিয়ে বিমানকে নিরাপদে অবতরণের ঘটনা নিঃসন্দেহে ব্যতিক্রমী।