নিজস্ব প্রতিনিধি: কংক্রিটের শহরে যেন এক টুকরো অরণ্য। হরিদেবপুরের পশ্চিম পুঁটিয়ারি পল্লী উন্নয়ন সমিতির ক্লাবের পুজো মণ্ডপে প্রবেশ করলে ঝরাপাতার উপর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে শুনতে পাবেন ঝিঁঝিঁর ডাক। সেই সঙ্গে কানে বাজবে ঝরাপাতার মর্মর শব্দ। পুজোয় ঠাকুর দেখতে গিয়ে এমন অনুভূতি পেতে হলে আসতে হবে আপনাকে পশ্চিম পুঁটিয়ারি পল্লী উন্নয়ন সমিতির মণ্ডপে।
গোটা মণ্ডপের রূপ দিয়েছেন শিল্পী সোমনাথ তামলী। তাঁর ভাবনায় সেজে উঠেছে এবারের হরিদেবপুরের পশ্চিম পুঁটিয়ারি পল্লী উন্নয়ন সমিতির ক্লাবের পুজো মণ্ডপ। খড় কাঠি, পাট কাঠির কাঠামোর সঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছে বিভিন্ন গাছের পাতাও। মণ্ডপ সজ্জায় ব্যবহার করা হয়েছে শুকনো অশ্বত্থ পাতা। কেন এমন থিম এবারের পুজোয়? ক্লাবের কর্মকর্তা কুন্তল জানান, পাতা দিয়েই আবর্তিত হয় আমাদের জীবন। সেই আদিকাল থেকেই পাতা জীবনের সঙ্গী। লজ্জা নিবারণ থেকে ঘর বোনা সবেতেই যোগ রয়েছে পাতার। এমনকি, পাতা কুড়িয়ে এখনও অনেকেই জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। এবারে আমাদের পুজো মণ্ডপ পরিবেশবান্ধব করে তোলার উদ্দেশ্য থেকেই ঝরা পাতা ব্যবহারে জোর দেওয়া হয়েছে। এমনকি প্রতিমাও নির্মাণ করা হয়েছে পাতা ও মাটি দিয়ে।
কোনও দর্শনার্থী মণ্ডপে ঢুকলেই আবহ সঙ্গীতে শুনতে পাবেন পাতার মর্মর শব্দ। সঙ্গে পাতা কুড়োতে যাওয়ার এক কাহিনীও কানে আসবে। যা মুহূর্তের জন্য দর্শনার্থীকে নিয়ে চলে যেতে পারে ঝাড়গ্রাম বা পুরুলিয়ার জঙ্গলে। যেখানে শুকনো ঝরাপাতার উপর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে আপনি হারিয়ে যাবেন আদিম অরণ্যের পরিবেশে। নাকে আসবে পাতার নিজস্ব সুগন্ধ।