আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পূর্বাভাষ ছিল, বাইডেন সরকারকে জোর টক্কর দিয়ে উচ্চকক্ষ বা সেনেটে বেশি আসন দখল করতে পারে ট্রাম্পের দল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মিলল না পূর্বাভাষ। সেনেটের নিয়ন্ত্রণ থাকছে মার্কিন প্রেসিডেন্টে বাইডেনের দল ডেমোক্র্যাটদের হাতে। মধ্যবর্তী নির্বাচনে ভাল ফল করল ডেমোক্র্যাটরা।
সাধারণত, মধ্যবর্তী নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল চাপে পড়ে যায়। এবার সেই সঙ্গে বাইডেনের সামনে আরও বড় চ্যালেঞ্জ ছিল মুদ্রাস্ফীতি ও তাঁর জনপ্রিয়তার গ্রাফের নিম্নমুখী হওয়া। আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার সহ একাধিক বিষয়ে বাইডেনের উপর ক্ষুব্ধ ছিলেন মার্কিনবাসী। মনে করা হচ্ছিল রিপাবলিকানদের ‘লাল ঝড়’ দেখা যাবে এবারের নির্বাচনে। জয়ের গন্ধ পেয়ে জোর প্রচার করতে দেখা গিয়েছিল প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে। জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী দেখাচ্ছিল তাঁকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেনেট দখল অধরা থেকে গেল রিপাবলিকানদের। নেভাডা ও অ্যারিজোনায় জিতে সেনেটের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে চলেছে ডেমোক্র্যাটরাই। পরিস্থিতি যা, সেনেটের আসন ৫০-৫০ ভাগে ভাগ হয়ে গেলেও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের ‘টাই-ব্রেকিং’ ভোটে ডেমোক্র্যাটরাই ক্ষমতা দখলে রাখবে সেনেটের।
এই ফলে স্বাভাবিক ভাবেই খুশি বাইডেন। রবিবার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘আমার খুব ভালো লাগছে। আগামী দুই বছরের দিকে তাকিয়ে থাকব’। তবে মধ্যবর্তী নির্বাচনে নিম্নকক্ষ বা ‘হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে’ ডেমোক্র্যাটদের পিছনে ফেলেছে রিপাবলিকানরা। তবে সেখানেও ব্যবধান সামান্যই। নির্বাচনের আগে যা পূর্বাভাস করছিলেন বিশেষজ্ঞরা তার ধারেকাছেও পৌঁছতে পারেননি ট্রাম্পরা। ফলে সব মিলিয়ে মধ্যবর্তী নির্বাচনের শেষে বাইডেনের মুখের হাসিই চওড়া হল।