নিজস্ব প্রতিনিধি: বেশ কয়েকদিন আগে তখনও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন ঐন্দ্রিলা। হঠাৎ নেট দুনিয়া জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে গুজব। ভাইরাল হয় ‘রিপ’। সব্যসাচী কাতর আবেদন জানিয়ে লিখেছিলেন, এসব লেখার অনেক সময় পাবে। আর কটা দিন বাঁচতে দাও ওকে। লিখেছিলেন, মানুষ শকুনের মত। তাঁর আবেদন ছিল, ঐন্দ্রিলার সুস্থতার কামনা যেন করা হয় ‘মন’ থেকে। ‘ফোন’ থেকে নয়। আজ চির উজ্জ্বল হয়েছেন ঐন্দ্রিলা। আর তারপরেই আবারও ‘শকুন’ হওয়ার পরিচয় দিলেন নেট দুনিয়ার বেশ কয়েকজন। আর লাইক-কমেন্ট- শেয়ার ভিখারিরা ভাইরাল করেছে একটি ভিডিও।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে কোনও মহিলার মৃতদেহ রাখা আছে মেঝের ওপরে। আর ওই মৃতদেহে সিঁদুর পরাচ্ছেন এক যুবক। করছেন মালা বদল। যুবকটি যেন সব্যসাচীর মত দেখতে। তবে ওই ভিডিও আদৌ সব্যসাচী- ঐন্দ্রিলার নয়। জানা যায়নি, ভিডিওটি সত্যি কারও না কি কোনও অভিনয়ের। তবে সত্যি হলেও প্রশ্ন, ওই চূড়ান্ত দুঃখের সেই ভিডিও মোবাইলে ধারণ করা বা ভাইরাল করা কি শোভনীয়? অমানবিক নয়?
একজনের মৃত্যু হল, তারপর নেটিজেন যত না শোকে স্তব্ধ হলেন, তার চেয়ে অনেক বেশি ‘প্রতিযোগিতা’য় নামলেন ‘কে আগে পোস্ট করতে পারেন’। তবে এরই মাঝে অনেকে জানিয়েছেন শেষ শ্রদ্ধা। ঐন্দ্রিলা যে সকলের প্রিয়। তাঁর ভক্ত অগণিত। তবে অন্যদিকে প্রশ্ন উঠছে, ‘শোক সামলানোর সময়’ নিয়েও।
যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে, তাতে পড়েছে ঐন্দ্রিলা (AINDRILA), সব্যসাচী, ভালোবাসার হ্যাশট্যাগ। ভাইরাল হয়েছে নিমেষে। বয়েছে লাইক-কমেন্ট-শেয়ারের ঝড়। ওই ভিডিও আদৌ তাঁদের নয়। তবে ওই মুহূর্ত কাদের তা জানা নেই। যাদেরই হোক তা অত্যন্ত কষ্টের। একজনের মৃত্যুর খবরের পরেই সেই ভিডিও ভাইরাল হয় কী করে? আর যখন এসব হচ্ছে, তখন ঐন্দ্রিলার জীবনের জন্য লড়াইয়ের সঙ্গী সব্যসাচী বসে আছেন স্থির হয়ে।
প্রশ্ন উঠছে, ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর পরে ওই ভিডিও ভাইরাল করার মানে কি? লাইক- রিয়াক্ট-কমেন্ট-শেয়ারের ঝড়ের তীব্র কামনা? সত্যি কুমীরের কান্না তো মানুষও পারে।