নিজস্ব প্রতিনিধি: পুলিশ ঠেকিয়ে, ভাড়া করা গুণ্ডা দিয়ে মার খাইয়ে ত্রিপুরায় তৃণমূলকে আটকাতে চেষ্টা করেছে বিজেপি। সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব বলছেন ‘অতিথি দেব ভব’, কিন্তু কাজে চালাচ্ছেন অত্যাচার, বারবার এমনটাই দাবি করছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার ঝুলি থেকে নতুন উপায় বার করেছে ঘাসফুল শিবিরকে আটকাতে। শুক্রবার গভীর রাতে ‘ইচ্ছাকৃত’ ভাবে ত্রিপুরা সরকার নতুন নিয়ম জারি করেছে। নতুন নিয়মে বলা হয়েছে ভারতের যে রাজ্যে করোনা সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের বেশি, সেখান থেকে বিমান, ট্রেন কিংবা সড়কপথে এলে করোনার আরটিপিসিআর টেস্ট নেগেটিভ বাধ্যতামূলক। আগামী রবিবার ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের একগুচ্ছ কর্মসূচী রয়েছে। ঘাসফুল শিবিরের দাবি সেই কর্মসূচী আটকাতেই এই ফন্দি। কারণ এত দ্রুত করোনার আরটিপিসিআর টেস্ট নেগেটিভ রিপোর্ট পেয়ে ত্রিপুরা গিয়ে কর্মসূচী পালন করতে বেগ পেতে হবে অভিষেককে।
এর আগে অভিষেকের সভাকে কেন্দ্র করে আদালত পর্যন্ত অশান্তি পৌঁছায়। তখন ত্রিপুরা সরকার করোনা ও উৎসবকে ঢাল করে সমস্ত সভা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু ত্রিপুরার বিজেপি সরকারের সভার অনুমতি দিয়ে দেয়। সেই বিধিনিষেধ উঠতেই আগামী রবিবার অর্থাৎ ৩১ অক্টোবর ফের ত্রিপুরা যাওয়ার কথা অভিষেকের। তার আগেই আরটিপিসিআর টেস্টের জুজু দেখিয়ে আটকানোর চেষ্টা করল বিপ্লব দেবের সরকার।
এই নতুন নিয়মে বলা হয়েছে, ২৬ অক্টোবরের পর থেকে যে সব রাজ্যের একাধিক জেলায় সংক্রমণের হার পাঁচ শতাংশের বেশি, সেই সব রাজ্যের কোনও ব্যক্তি ত্রিপুরায় এলে কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট বাধ্যতামূলক। এর সঙ্গে নির্দেশিকায় যে সব রাজ্যের উল্লেখ করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে কেরল, হিমাচল, সিকিম, মণিপুর, পশ্চিমবঙ্গ, মিজোরাম, মেঘালয়, অরুণাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড। এই বিষয়ে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ এ বিষয়ে বলেন, ‘বিপ্লব দেবের সরকার ভয় পেয়েছে। নির্দেশিকায় রাজ্যের তালিকা থেকে দিল্লি, অসম বাদ কেন? দাদারা, জেঠুরা আসে বলে অভিষেককে ভয় পাচ্ছে। ওঁকে আটকাতে সব রকম চেষ্টা করেছিল। গোটা শহরে ১৪৪ ধারা কার্যকর করে দিয়েছিল। এখন সভা হচ্ছে দেখে করোনাকে ঢাল করতে শুরু করেছে।’