নিজস্ব প্রতিনিধি: বিধানসভা নির্বাচনে বাঁকুড়ায় সাফল্য পেয়েছিল বিজেপি। তারপরে পুরসভা নির্বাচনেই ধাক্কা লেগেছিল গেরুয়া শিবিরের পালতোলা নৌকায়। তার মাঝেই একাধিক ইস্যুতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জীর্ণ হয়ে পড়েছে বিজেপির তাঁবু। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই বঙ্গ বিজেপি’র একাংশ ফের সরব হয়েছে আলাদা রাজ্যের দাবিতে। একদিকে, উত্তরবঙ্গে একাধিক বিজেপি বিধায়কের দাবি, পৃথক রাজ্য হিসেবে ঘোষণা করা হোক উত্তরবঙ্গকে। উত্তরে ‘কোচ-কামতাপুর’ রাজ্যের দাবিতে সরব কেএলও- বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনও। মাঝে দাবি উঠেছিল, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হোক উত্তরবঙ্গ। উত্তরের মত দক্ষিণের রাঢ় অঞ্চলের বিজেপি নেতাদেরও দাবি, আলাদা রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হোক রাঢ় ভূমি। আবারও এই দাবি তুললেন বাঁকুড়ার বিজেপি (BJP) বিধায়ক (MLA) নীলাদ্রি শেখর দানা (NILADRI SHEKHAR DANA)।
রবিবার নীলাদ্রি দাবি করেন, ‘রাঢ়বঙ্গ জোন’ নাম দিয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করা হোক। এর আগে বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খা’র দাবি ছিল, রাঢ়বঙ্গ নামে আলাদা রাজ্য (SEPARATE STATE) হোক। তাঁর দাবি ছিল, আলাদা রাজ্য ঘোষণা করা হোক জঙ্গলমহলকে। এরপরেই একই দাবি তুলেছিলেন ওন্দার বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা। তাঁদের পথ অনুসরণ করলেন নীলাদ্রি। তবে তাঁর দাবি, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল (UNION TERRITORY) ঘোষণা করার। উল্লেখ্য, জঙ্গলমহলকে ‘রেড করিডোর’ বানানোর স্বপ্ন ছিল মাওবাদীদের।
আরও পড়ুন: বিজেপি বিধায়ক অমরনাথের মুখে পৃথক ‘রাঢ়বঙ্গ’ রাজ্য
কেএলও, মাওবাদী, বিজেপি’র সাংসদ- বিধায়কদের দাবি যেন কিছুটা একই । কেউ চান আলাদা রাজ্য। কেউ বা চান কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। দাবি, ‘বঙ্গভঙ্গ’। এদিকে বাংলা বিভাজনের বিরোধিতা করেছে তৃণমূল, বাম, কংগ্রেস। বিজেপি বিরোধীদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিচ্ছিন্নভাবে বাংলাকে দেখতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি। তবে তা বরদাস্ত করা হবে না। অভিযোগ, কেন্দ্রের হাতে খণ্ড খণ্ড করে বাংলাকে তুলে দিতে ‘দালালি’ করছে গেরুয়া শিবিরের বঙ্গ নেতৃত্ব। অন্যদিকে, কেন্দ্র বিজেপি নেতৃত্বের স্পষ্ট বার্তা ছিল, বঙ্গভঙ্গের দাবি তোলা যাবে না। এতে ভুল বার্তা পৌঁছাবে। তা নিয়েও রাজ্য-কেন্দ্র বিজেপি শিবিরে দেখা দিয়েছে দ্বন্দ্ব।