আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মাত্র কয়েকদিন আগে একটি গোল নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছি। খেলা ছিল পর্তুগাল বনাম উরুগুয়ের। সেই ম্যাচে ২-১ গোলে জয়ী হয় পর্তুগাল। প্রথম গোল নিয়ে তৈরি হয়েছিল সমস্যা। যা গড়ায় পরে সাংবাদিক সম্মেলেন। প্রথম গোলের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, উরুগুয়ের অর্ধে গোলকিপারের ডানদিক থেকে গোলপোস্ট লক্ষ্য করে বল ভাসিয়ে দিলেন ব্রুনো। গোলে ঢোকার ঠিক আগে বল হেড করে জালে জড়িয়ে দিতে লাফ মারেন রোনাল্ডো। বল জালে জড়িয়ে যায়। সকলের ধারণা হয়েছিল, গোলটা রোনাল্ডো করেছেন। তাছাড়া গোলের পর একজন খেলোয়াড়কে যেমন উচ্ছ্বাসে মেতে উঠতে দেখা যায়, রোনাল্ডো ঠিক সে ভাবে মেতে উঠেছিলেন। সমস্যার পড়ে ফিফা অ্যাডিডাসের সাহায্য নেয়। অ্যাডিডাস জানিয়ে দেয়, গোলটা হয়েছে ব্রুনোর শটেই। সমস্যা কীভাবে মিটল, সেটা জানা গেল।
চলতি বিশ্বকাপে যে বলে খেলা হচ্ছে, সেই সব বলে রয়েছে অত্যাধুনিক সেন্সর। এই সেন্সর জিপিএসের থেকেও অনেক বেশি শক্তিশালী। প্রযুক্তির ভাষায় আল্ট্রা-ওয়াইড ব্যান্ড। খেলা প্রতিমুহূর্তে ওই সেন্সরের মাধ্যমে জমা হবে তথ্য ভাণ্ডারে। খেলার কোনও মুহূর্ত নিয়ে বিতর্ক তৈরি হলে ম্যাচ রেফারি সাহায্য চাইবে ভিডিয়ো অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির। তিনি বিতর্কিত মুহূর্তটি খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবেন। যেটা হয়েছিল রোনাল্ডোর ক্ষেত্রে। এছাড়াও বলে রয়েছে ইন্টার্শিয়াল মেজারমেন্ট ইউনিট সেন্সর। তাই, কোনওভাবেই ফাঁকিবাজি চলবে না।
আরও পড়ুন ছাঁটাই এবার অ্যামাজনে, চাকরি হারাবেন ১০ হাজার কর্মী