নিজস্ব প্রতিনিধি: আবারও বিজেপি’র বিরুদ্ধে ‘দাদাগিরি’র অভিযোগ। এবার অভিযোগ, বিজেপি (BJP) বিধায়ক (MLA) নীলাদ্রি শেখর দানা’র (NILADRI SHEKHAR DANA) বিরুদ্ধে। তিনি অবশ্য তাঁর ব্যবহারকে ‘দাদাগিরি’ বলতে নারাজ। উল্লেখ্য, কল্যাণী এইমস নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতেও জড়িয়েছে তাঁর নাম।
শুক্রবার ‘আবাস যোজনা’ প্রকল্প নিয়ে অভিযোগ তুলে বাঁকুড়া-১ বিডিও অফিসে ডেপুটেশন দিতে গিয়েছিলেন বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রি। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজন। সেখানেই বিডিও’কে আঙুল উঁচিয়ে জোর গলায় হুমকি দিতে থাকেন বিধায়ক। অভিযোগ তুলে তাঁর প্রশ্ন, কেন চাইলেই আবাস যোজনার তালিকা বিজেপি সদস্যদের দেওয়া হচ্ছে না? অভিযুক্ত বিধায়ক অবশ্য দাবি করছেন, তিনি দুর্ব্যবহার করেননি। ‘গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কথা’ বলেছেন। তৃণমূলের পক্ষ থেকে কটাক্ষ করে বলা হয়েছে, ‘বিজেপি মানেই মিথ্যে অভিযোগ আর দুর্ব্যবহার’।
বাঁকুড়া-১ বিডিও এই প্রসঙ্গে বলেন, প্রত্যেকেই অভিযোগ জানাতে পারেন। তবে শালীনতা বজায় রেখে কথা বলা এবং অভিযোগ জানানো উচিৎ। কেমন ব্যবহার করতে হয়, তা জানা প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, আবাস যোজনার কাজ স্বচ্ছভাবে এবং দ্রুত করার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। নির্দেশ, ৩ ধাপে যাচাই করতে হবে উপভোক্তার তথ্য। সমীক্ষা দল, বিশেষ পর্যবেক্ষক দল, টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। মহকুমাশাসকরাও এলাকায় গিয়ে গিয়ে খতিয়ে দেখছেন তথ্য। মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ, নজরদারিতে বাধা দিলেই গ্রেফতার। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, জেলাশাসকের দফতরে কন্ট্রোলরুম চালু করতে হবে। বলা হয়েছে জেলাশাসক, মহকুমাশাসক এবং বিডিও অফিসে বাধ্যতামূলক ভাবে রাখতে হবে কমপ্লেন বক্স।
আরও পড়ুন: ‘দাদাগিরি’ করতে গিয়ে ভূপতিনগর গ্রামবাসীদের প্রতিরোধের মুখে বিজেপি, চূড়ান্ত উত্তেজনা
অন্যদিকে, সম্প্রতি ভূপতিনগরে বহিরাহত নিয়ে গিয়ে ‘দাদাগিরি’ করতে গিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে বচসা, ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে বিজেপি। গ্রামবাসীদের প্রতিরোধে এলাকা ছাড়ে বিজেপি’র দল। এলাকা জুড়ে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল। নেমেছিল র্যাফ। ভূপতিনগরের পরে ফের বিজেপির বিরুদ্ধে ‘দাদাগিরি’র অভিযোগ। আর এবারে অভিযোগের কেন্দ্রে খোদ বাঁকুড়ার বিধায়ক।