নিজস্ব প্রতিনিধি: কুমারী পুজোর প্রচলন করেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। সাধারণত কুমারী পুজো হয় দুর্গা, কালী, জগদ্ধাত্রী দেবীর আরাধনার সময়ে। তাহলে সরস্বতী পুজোর সময় এই পুজোর কথা আসছে কেন?
দেবী সরস্বতী তো দুর্গার কন্যা। দুর্গার অপর রূপ তো কালী, জগদ্ধাত্রী। তাহলে এই তিনপুজোয় কেন ‘সরস্বতী’ (SARASWATI) নামে কুমারী পুজো করা হয়? আসলে, ১ থেকে ১৬ বছরের কন্যাকে কুমারী রূপে পুজো করা হয়। প্রতি বছরের ‘কুমারী’র এক এক নাম। যাদের বয়স ২, সেই সমস্ত কুমারী আরাধ্যা হয় ‘সরস্বতী’ রূপে। পুরাণ অনুসারে, মহালক্ষ্মী এবং মহা সরস্বতীও আদ্যাশক্তির অংশ, তাঁরই রূপ। কেউ বলেন তিনি এক। কেউ বলেন তিনি নিরাকার। তিনিই আদি-অন্ত ও ধারক। তিনিই স্রষ্টা, তিনিই বিনাশিনী। উল্লেখ্য, ১৩ বছরের কুমারীর আরাধনা করা হয় ‘মহালক্ষ্মী’ নামে।
শাস্ত্রের বিভিন্ন মত অনুযায়ী, যে কোনও কুমারী- যে রজঃস্বলা নয়, তাকেই পুজো করা যায়। ব্রাহ্মণ হতে হবে উল্লেখ নেই। প্রসঙ্গত, স্বামী বিবেকানন্দ ১৯০১ সালে কুমারীপুজোর প্রচলন করলেও তা প্রথম কুমারীপুজো নয়। ১৮৯৮ সালে স্বামী বিবেকানন্দ কাশ্মীরে কুমারী পুজো করেছিলেন। সেই কন্যা ছিল মুসলমান।