নিজস্ব প্রতিনিধি: বঙ্গবাসীর জন্য সুখবর শোনালেন বিশেষজ্ঞরা। বড় জোর আর ১ সপ্তাহ। তার পরেই দাপট কমবে Adeno Virus’র। অ্যাডিনো-আতঙ্কের মাঝেই এই স্বস্তির বার্তা শোনালেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের দাবি, বেশি গরম(Heat) আর বেশি ঠান্ডায় সংক্রমণ বৃদ্ধির ক্ষমতা হারায় অধিকাংশ ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়া। সর্দি কাশির ‘আপাত নিরীহ’ ভাইরাস অ্যাডিনোও তার ব্যতিক্রম নয়। তীব্র গরমে সংক্রমণের মাত্রা কমবে। নিস্তেজ হয়ে পড়বে এটি। ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি গরমে অ্যাডিনো কাবু হতে আরম্ভ করে। ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির হার কমতে থাকে। আর ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি গরমে সে নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। অর্থাৎ, এই ভাইরাসের দাপট বড় জোর আর ১ সপ্তাহ বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, কোভিডের(Covid) মতো অ্যাডিনো কোনও নতুন ভাইরাস নয়। এই ভাইরাস অনেক আগে থেকেই আমাদের পরিবেশে আছে এবং তা আগামী দিনেও কোভিডের মতোই থাকবে। ৩-৪ বার করে হাঁচি, কাশি, সর্দি এবং জ্বরের উৎপাত হলেই চিকিৎসকরা বলে এসেছেন, ‘আপনার ভাইরাল ইনফেকশন হয়েছে।’ পরীক্ষা না করালেও, সেই ভাইরাল ইনফেকশনের(Viral Infection) অন্যতম কারণ হল Adeno Virus। অর্থাৎ, সারা বছরই অল্পবিস্তর উৎপাত ছিল, আছে ও থাকবে এই ভাইরাসের। কিন্তু এই নিরীহ ভাইরাসে এত মৃত্যু হতো না। এখন শিশুদের ক্ষেত্রে সেই মৃত্যুর ঘটনা ঘটতে দেখা যাচ্ছে মূলত দুটি কারণে। এক, Adeno Virus তার চরিত্র পরিবর্তন করেছে। দ্বিতীয়ত, আবহাওয়ার(Weather) অদ্ভুত পরিবর্তন। শীতকালে সর্বত্রই দূষণের মাত্রা বেশি। এই জন্যই শীতকালে এলার্জির উপদ্রব বেশি। গরমে কমে যায়। সেই নিয়ম মেনেই আশা করা যায়, গরম যত বাড়বে, অ্যাডিনোর উপদ্রব তত কমবে।